ডিজিটাল প্রযুক্তি ও অনলাইন ক্লাউডভিত্তিক কাজের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। তবে কর্মক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালা লঙ্ঘন করার প্রবণতাও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। কর্মীদের অনেকেই উৎপাদনশীলতার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নীতিমালা অমান্য করছেন, যা অজান্তেই বড় ধরনের সাইবার ঝুঁকির পথ খুলে দিচ্ছে।
কর্মীদের নিরাপত্তা নীতিমালা লঙ্ঘনের বেশ কিছু কারণও গবেষণায় উঠে এসেছে। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ ও সময়মতো কাজ শেষ করার তাগিদে অনেকেই তাৎক্ষণিক প্রয়োজনকে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।
বাড়তি সুবিধায় নজর: অনেক কর্মী নিরাপত্তার বিধিকে ঝামেলাপূর্ণ মনে করেন। দীর্ঘ ও জটিল পাসওয়ার্ড মনে রাখা, বারবার লগইন ও একাধিক ধাপে পরিচয় যাচাই তাঁদের কাজের গতির অন্তরায় বলে মনে হয়।
কাজের চাপ: দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদে অনেকেই মনে করেন, নিরাপত্তা নীতিমালা মানা বিলাসিতা ছাড়া কিছু নয়।
সচেতনতার অভাব: অনেক কর্মী বুঝতে পারেন না যে তাঁদের একটি ছোট ভুল কীভাবে পুরো প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাব্যবস্থা হুমকির মুখে ফেলতে পারে। নিরাপত্তা বিষয়ে সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবেই এই সমস্যা তৈরি হয়।
সমাধানের পথ কী?
‘কোনো সত্তার শক্তি তার দুর্বলতম অংশের শক্তির মতোই’ সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই প্রবাদ প্রাসঙ্গিক। একটি দুর্বল পাসওয়ার্ড, একটি অনিরাপদ যন্ত্র বা একটি ফিশিং ই-মেইলে ক্লিক করা পুরো প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে পারে।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে বুঝতে হবে, কর্মীরা একদিকে যেমন তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, তেমনি সবচেয়ে বড় ঝুঁকির উৎস। দ্রুত পরিবর্তনশীল সাইবার হুমকির এই যুগে ভালো সাইবার নিরাপত্তা কেবল উন্নত প্রযুক্তি কেনাতেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং প্রত্যেক কর্মীর কাছে এই বার্তা পৌঁছাতে হবে যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাইবার নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখনো মানব আচরণ এবং এই সমস্যার সমাধানও রয়েছে সচেতনতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।