জুমবাংলা ডেস্ক : প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৮টি ধারা সংশোধনসহ তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছে বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন। সুপারিশে ৪২ ধারা সংশোধনের বিষয়ে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে অভিযোগের বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য প্রেস কাউন্সিলের মতামত নিতে হবে। কোনো অবস্থায় সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীকে পেশাগত কাজের জন্য গ্রেপ্তার করা যাবে না।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে আয়োজিত এক সভায় এই প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তাঁকে সুপারিশসহ এই প্রস্তাব হস্তান্তর করেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ।
প্রস্তাবিত সাইবার আইনের ২৯ ও ৩২ ধারা বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এই দুই ধারায় মানহানি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইন প্রয়োগের বিধান রয়েছে।
২৮ ধারায় বিদ্যমান ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়টি স্পষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। ২১ ধারায় বর্ণিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়টিও সংজ্ঞায় স্পষ্ট করার কথা বলা হয়েছে সুপারিশে।
এছাড়া প্রস্তাবিত আইনের ৮, ২৫, ৩১ ধারার বিভিন্ন বিষয়ে শব্দের পরিবর্তন করে স্পষ্ট করার জন্য সুপারিশ করা হয়। প্রস্তাবিত সাইবার আইন সংশোধনের পাশাপাশি নতুন করে তিনটি বিষয় আইনে যুক্ত করতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সাইবার নিরাপত্তা আইনে কেউ মিথ্যা মামলা করলে বাদীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখতে হবে। সাইবার নিরাপত্তা আইনে প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি’ গঠনের যে প্রস্তাব রয়েছে, সেখানে সাংবাদিক বা সংবাদ মাধ্যমের বিশেষজ্ঞ রাখার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কাউন্সিলেও বিএফইউজের সুপারিশ অনুযায়ী সাংবাদিক বা গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ রাখার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সুপারিশসহ প্রস্তাব তুলে ধরেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ।
৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ডিসেম্বরের মধ্যে ফেরত পাঠাতে চায় বাংলাদেশ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।