আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আদালতে নিজেকে বারবার সাধারণ পরিবারের মেয়ে বলে উল্লেখ করেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। জেল হেফাজতে থাকা অর্পিতা জামিনও চাননি। গ্রেফতার হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে সজোরে বলেছে, ‘টাকা আমার নয়।’ টাকা তাহলে কার? অর্পিতা বলেছিলেন, ‘সময় হলে সব জানতে পারবেন।’ এবার কি সেই সময় এসেছে?
তাঁর নামে থাকা টাকা বা তাঁর ফ্ল্যাটে থাকা গয়না আসলে কার, ইডি আধিকারিকদের সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অর্পিতা। চার্জশিট পেশ হওয়ার পর সেই তথ্য সামনে এসেছে।
ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, অর্পিতা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। টাকা রাখার জন্য দিয়েছিলেন তিনি। শুধু অ্যাকাউন্ট নয়, বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট ও ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটও টাকা এবং গয়না রাখার জন্য স্বেচ্ছায় দিয়েছিলেন অর্পিতা। প্রথমে জেরায় অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে জেলে গিয়ে জেরা করার সময় আধিকারিকদের কাছে এ কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
চার্জশিটে এই তথ্য উল্লেখ করে ইডি আদালতে জানিয়েছে, ওই টাকা ও গয়না রাখা হয়েছিল পরবর্তীকালে সম্পত্তি কেনার জন্য। ইডি জানতে পেরেছে যে পার্থ-অর্পিতার সব সম্পত্তি নগদে কেন হয়েছিল। আর এভাবেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন অর্পিতা। সোনার মূল্য ও নগদ টাকা মিলিয়ে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে অন্তত সাড়ে ৫৪ কোটি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।
গত ২২ জুলাই পার্থক বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পর অর্পিতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। এরপর নগদ টাকা পাহাড়ের যে ছবি ইডি প্রকাশ্যে আনে, তা কার্যত চমকে দিয়েছিল গোটা বাংলাকে। কয়েকদিন পর অর্পিতার বেলঘরিয়ার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় আরও কয়েকটি টাকা। সেই ফ্ল্যাটেই ছিল বেশ কিছু সোনার গয়নাও। প্রথম থেকেই গোয়েন্দাদের সন্দেহ ছিল, ওই টাকার সঙ্গে যোগ রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীর। ধরা পড়ার পর অর্পিতা দাবি করেন ওই টাকা তাঁর নয়।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অর্পিতা জানিয়েছেন, তিনি আগে ভয়ে ছিলেন যে তাঁর ও তাঁর মায়ের প্রাণহানি হতে পারে। সেই কারণে তিনি এই কথা আগে বলেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।