মানব পাচার মামলায় সাত বিয়ে করা কুষ্টিয়ার সেই রবিজুল ইসলামকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে জেলার খোকসা উপজেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানা–পুলিশ।
এর আগেও রবিজুলের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ ওঠে। সে সময় রবিজুল পলাতক থাকলেও তাঁর বাবা আয়নাল ও স্ত্রী মোছা. রুবি খাতুনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, লিবিয়ায় থাকার সময় এলাকার তরুণ-যুবকদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যম হিসেবে কাজ করতেন রবিজুল। দেশে আসার পরও এই কাজ করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে টাকা লেনদেন ও মানব পাচারের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে থানায় অন্তত ছয়টি মামলা রয়েছে। এর পর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালায়।
আরও জানা গেছে, রবিজুল কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার গ্রামের যুবক–তরুণদের প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়ায় পাঠাতেন। পাঠানোর পর চক্রের সদস্যরা লিবিয়াতে কষ্টে থাকার ভিডিও ধারণ করে তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবারের কাছে পাঠাতেন এবং মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতেন। এসব অভিযোগে একাধিক মামলা হলে পুলিশ রবিজুলকে গ্রেপ্তার করে।
রাত সাড়ে ১০টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, মানব পাচারের অভিযোগে রবিজুলের বিরুদ্ধে অন্তত ছয়টি মামলা রয়েছে। আগামীকাল সোমবার তাঁকে আদালতে নেওয়া হবে। তাঁর সঙ্গে কোনো চক্র জড়িত রয়েছে কি না, তা তদন্তের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
রবিজুল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় মাইক্রোবাসচালক ছিলেন। পরে লিবিয়ায় পাড়ি জমান। ১৫ বছর পর দেশে ফিরে সাত বিয়ে করে আলোচনায় আসেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।