নেটফ্লিক্সের টপ ১০ মুভি চার্টে ফের আলোচনায় উঠে এসেছে ডোয়েন জনসন অভিনীত দুর্যোগ চলচ্চিত্র ‘সান অ্যান্ড্রিয়াস’। ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি বর্তমানে নেটফ্লিক্সের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চার্টে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। কেবল ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’ সিনেমাটির পেছনে রয়েছে এই দুর্যোগ চলচ্চিত্রটি।
সিনেমাটি মূলত ২০১৫ সালে মুক্তি পায়। কার্লটন কিউস লিখিত এই সিনেমায় ডোয়েন জনসন, আলেকজান্দ্রা দাদারিও, কারলা গুগিনো ও পল জিয়ামাটি অভিনয় করেন। দর্শকদের মধ্যে ৫২% রেটিং পেয়েও সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে নতুন করে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
নেটফ্লিক্সে পুরনো সিনেমার নতুন জীবন
নেটফ্লিক্সের দৈনিক টপ ১০ চার্টে প্রায়ই অপ্রত্যাশিত সিনেমা উঠে আসে। ‘সান অ্যান্ড্রিয়াস’ এর সাম্প্রতিক সাফল্য এটি প্রমাণ করে। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম পুরনো সিনেমাগুলোকে নতুন দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেয়।
বিভিন্ন বিশ্লেষকদের মতে, দুর্যোগ বিষয়ক সিনেমাগুলো দর্শকদের জন্য একধরনের কমফোর্ট ফুড। বড় তারকা, বড় বাজেটের ভিজুয়্যাল ইফেক্ট সহজেই দর্শকদের আকর্ষণ করে। ‘সান অ্যান্ড্রিয়াস’ এ রয়েছে ডোয়েন জনসনের মতো সুপারস্টার।
সিনেমাটিতে ক্যালিফোর্নিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। হেলিকপ্টার পাইলটের ভূমিকায় ডোয়েন জনসন তার মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এই সহজ গল্পলাইন দর্শকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়।
সমালোচকদের রেটিং সত্ত্বেও সাফল্য
রটেন টম্যাটোসে ‘সান অ্যান্ড্রিয়াস’ এর অডিয়েন্স স্কোর মাত্র ৫২%। পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারীর রেটিংয়ে এই স্কোর পেয়েছে সিনেমাটি। কিন্তু নেটফ্লিক্সে এটি নতুন করে সাফল্য পেয়েছে।
দ্য অ্যাটল্যান্টিক তাদের ২০১৫ সালের রিভিউয়ে লিখেছিল, সিনেমাটি অত্যন্ত বিনোদনদায়ক। ডোয়েন জনসনের ক্যারিশমা এবং ওয়েস্ট কোস্টের ল্যান্ডমার্কগুলোর সিজিআই ধ্বংসদৃশ্য দর্শকদের মুগ্ধ করে।
নেটফ্লিক্সের বর্তমান টপ ১০ তালিকায় অর্ধেকেরও কম সিনেমা নেটফ্লিক্স অরিজিনাল।这使得 ক্যাটালগ সিনেমাগুলোর জন্য যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। ‘সান অ্যান্ড্রিয়াস’ এর মতো সিনেমাগুলো এই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে।
স্ট্রিমিং যুগের সুবিধা
স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো ভুলে যাওয়া সিনেমাগুলোকে নতুন জীবন দেয়। সমালোচক বা দর্শকরা প্রথমবার সিনেমাটি কী ভেবেছে, তা এখন তত গুরুত্বপূর্ণ নয়। নেটফ্লিক্সের মতো প্ল্যাটফর্ম সিনেমাগুলোকে দ্বিতীয় সুযোগ দেয়।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, নেটফ্লিক্সের অ্যালগরিদম বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি এই ধরনের সিনেমাগুলোকে সামনে নিয়ে আসে। ব্যবহারকারীদের দেখার অভ্যাসের ভিত্তিতে সিনেমাগুলো সুপারিশ করা হয়।
‘সান অ্যান্ড্রিয়াস’ এর সাফল্য প্রমাণ করে যে, নেটফ্লিক্স সিনেমা চার্ট এ পুরনো সিনেমাগুলোর জন্য এখনও সম্ভাবনা রয়েছে। স্ট্রিমিং যুগে প্রতিটি সিনেমারই নতুন করে জনপ্রিয় হওয়ার সুযোগ আছে।
জেনে রাখুন-
Q1: সান অ্যান্ড্রিয়াস সিনেমা কবে মুক্তি পায়?
সিনেমাটি ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এখন নেটফ্লিক্সে স্ট্রিম করা যাচ্ছে।
Q2: সান অ্যান্ড্রিয়াস সিনেমায় কারা অভিনয় করেন?
ডোয়েন জনসন, আলেকজান্দ্রা দাদারিও, কারলা গুগিনো ও পল জিয়ামাটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন।
Q3: নেটফ্লিক্সে সান অ্যান্ড্রিয়াসের র্যাঙ্কিং কত?
সিনেমাটি নেটফ্লিক্সের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টপ ১০ চার্টে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
Q4: সান অ্যান্ড্রিয়াস সিনেমার রটেন টম্যাটোস স্কোর কত?
অডিয়েন্স স্কোর ৫২%। পঞ্চাশ হাজারের বেশি রেটিং থেকে এই স্কোর পেয়েছে।
Q5: নেটফ্লিক্সে কেন পুরনো সিনেমা জনপ্রিয় হয়?
স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের অ্যালগরিদম এবং নতুন দর্শকদের কাছে accessibility এর কারণে পুরনো সিনেমা জনপ্রিয় হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।