আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ তো শেষ হয়নি, শেষ হওয়ার কাছাকাছিও যায়নি। বরং ভাইরাসটির সংক্রমণের ভয়াবহ ধাপটি সামনে অপেক্ষা করছে। অবস্থা এমন চলতে থাকলে করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির শঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক।
চীনের উহান থেকে নিউমোনিয়ার মতো একটি রহস্যজনক ভাইরাস হিসেবে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর মহামারির রুপ ধারণ করা নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গত ছয় মাস ধরে চলছে। একসময় বলা হচ্ছিল ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত চলা সার্সের মতো আরেকটি মহামারি দেখবে বিশ্ব; যার প্রাদুর্ভাবে ৭৭৪ জন মারা যায়।
কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ভাইরাসটির ভয়াবহতা তত স্পষ্ট হয়েছে। বর্তমানে নভেল করোনা এক কোটির বেশি মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে। সংক্রমিত মানুষের মধ্যে ৫ লাখের বেশি মারা গেছে। ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলছেন, সতর্ক না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস সতর্ক করে বলছেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতি সামনে অপেক্ষা করছে।’ সঙ্গে যোগ করে বলেন, ‘এই রকম পরিবেশ ও অবস্থা চলতে থাকলে, আমরা সেই ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি।’
তেদ্রোস আধানম বলেন, ‘সব দেশের সরকারকে সঠিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন শুরুর সঙ্গে পূর্বের মতোই পরীক্ষা, শনাক্ত, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। আমরা চাই চলমান পরিস্থিতির অবসান হোক। আমরা চাই প্রতিটি জীবন বাঁচুক। কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হলো, এ পরিস্থিতির অবসান হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, কিছু দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের অগ্রগতি হলেও মহামারি আরও দ্রুত তার বিস্তার ছড়াচ্ছে এবং সামনের মাসগুলোতে বিশ্বের আরও বেশি সহনশীলতা, ধৈর্য ও উদারতার প্রয়োজন হবে।
ডব্লিউএইচও এর করোনা বিষয়ক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক তেদ্রোস বলেন, ‘ছয় মাস আগে, আমরা কেউই ভাবতে পারিনি যে না যে কীভাবে গোটা বিশ্ব এবং আমাদের জীবনকে এই নতুন ভাইরাস মারাত্মক এক টালমাটাল অবস্থার মধ্যে ফেলে দেবে।’
ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান করোনা মোকাবিলায় সফল হিসেবে জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নাম উল্লেখ করেন। বিভিন্ন দেশের সরকারকে এই দেশগুলোর নীতি অনুসরণ করার আহ্বানও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।