আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে হতাশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমাজ কল্যাণ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন মুর্শিদ। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা তুলে ধরেন তিনি। এসব খাতে ৫০ ভাগই অনিয়মের পথে অপচয় হয়েছে বলে মনে করেন শারমীন মুর্শিদ।
বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার সামাজিক নিরাপত্তাখাতকে যতটা সম্ভব অনিয়ম এবং দুর্নীতি থেকে বের করে আনতে চায়। সুযোগ্য লোক যেন এসব জায়গায় কাজ করতে পারে সে বিষয়ে নিজের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছেন উপদেষ্টা।
ঢাকার একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংক এক সেমিনার আয়োজন করে। সেখানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা প্রকাশ করেন। সেমিনারে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি গেইল মার্টিন জানান যে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিতে হবে এবং টেকসই উন্নয়নে ফোকাস করতে হবে।
তার জন্য গ্রামে থাকা মানুষের উন্নয়নের গুরুত্ব বাড়াতে হবে। যেসব জনগোষ্ঠী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি প্রয়োজন। দরিদ্র মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ সহায়তা দরকার। প্রশিক্ষণ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে হবে। তাছাড়া জলবায়ু ঝুঁকির কথা ভুলে গেলে চলবে না।
চলতি অর্থবছর বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের অধীনে ১৪০ কর্মসূচির জন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হয় ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। যা দেশের জিডিপির ৩ ভাগ, বাজেটের ১৭ ভাগের বেশি।
বয়স্ক ও বিধবা ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তির মত ৩২ টি কর্মসূচিতে নগদ বরাদ্দ প্রায় ৭৬ হাজার কোটি টাকা। তবে, অন্তবর্তী সরকার গঠিত টাস্কফোর্স এবং বিদেশি সংস্থার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের সুবিধাভোগী নির্বাচনে ৫০ ভাগ পর্যন্ত অনিয়ম হয়েছে। এছাড়া জনপ্রতি মাসিক কয়েক’শো টাকার ভাতাকে আর্থিক সুরক্ষার নামে প্রহসন বলে মনে করেন সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা শারমীন মুর্শিদ বলেন,‘ আমার বাজেট যদি ১ হাজার কোটি হয়, তালে ৫০০ কোটি টাকা অপচয়, এটা তো ভয়ংকর। এই কর্মসূচিটাকে যদি সত্যিই মানুষের কাছে পৌঁছাতে হয় তাহলে প্রথম কাজ হবে লক্ষ্যটা নির্ভুল ও নিখুঁত করতে হবে। আমি বিস্মিত যে এতোদিন ধরে কেন এটা হয়নি।’
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির দক্ষতা বাড়াতে উদ্ভাবনের গুরুত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এক সেমিনারে বলা হয়, বিশ্বের অনেক দেশেই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে সুফল মিলেছে। জানানো হয়, ৩ বছরে নগদ সহায়তার সঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়নের কর্মসূচি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।