নিহত ওই তরুণীর নাম সুমাইয়া বেগম (২০)। তিনি সূর্যদিয়া গ্রামের মুরাদ শেখের মেয়ে। ১৮ মাস আগে পাশের শ্রীনগর গ্রামের ছামাদ শেখের ছেলে আশিক শেখের সাথে তার বিয়ে হয় সুমাইয়ার।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সূর্যদিয়া গ্রামের ওদুদ মোল্লার জমি বর্গা নিয়ে চাষ করতেন সুমাইয়ার পিতা মুরাদ শেখ। বর্গা ওই জমিসংলগ্ন খাল পাড়ে কলাগাছ রোপণ করেছিলেন মুরাদ। সকাল ৯টার দিকে ওদুদের ভাতিজা আবুল কাশেমের দুই ছেলে তুর্য (১৭) ও তাজগীর (১৫) একটি কলা গাছ কাটতে যায়। তখন মুরাদের স্ত্রী সালমা বেগম ও মেয়ে সুমাইয়া তাদের বাধা দেয়। তখন মা ও মেয়ের সাথে তাজগীরের হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে তাজগীর হাতের কাচি দিয়ে সুমাইয়ার পেটে কোপ দেয়। এতে সুমাইয়া গুরুতর আহত হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় সুমাইয়াকে প্রথমে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মারা যায় সুমাইয়া।
পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরুল আলম মিনা বলেন, সুমাইয়ার মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে মান্নান শেখের লোকজন ওদুদ ও তার তিন ছেলের বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় ওদুদকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওদুদকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এবং মধুখালী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. আনিসুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা সহ এই ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।