অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাজেন্দ্র গুপ্ত মনে করেন যে, সময়ের সাথে শক্তির পরিবর্তন এবং মহাবিশ্বে আলোর আচরণ বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা নাও থাকতে পারে। ডার্ক ম্যাটার এমন এক রহস্যময় পদার্থ যা মহাবিশ্বের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এটি ‘normal matter’ এবং ‘dark energy’র পাশাপাশি মহাবিশ্বের ট্র্যাডিশনাল মডেলের একটি মৌলিক উপাদান বলে বিশ্বাস করা হয়।
একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় এর বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি প্রস্তাব করা হয়েছে যা আমাদের মহাবিশ্বে ডার্ক ম্যাটার ধারণ করতে পারে না বলে বিশ্বাস করা হয়। এটি মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের বর্তমান উপলব্ধি এবং এর মধ্যে ডার্ক ম্যাটারের ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ করে।
রাজেন্দ্র গুপ্তের অধ্যয়ন কভারিং কাপলিং কনস্ট্যান্টস (CCC) এবং “টায়ার্ড লাইট” (TL) থিওরির সংমিশ্রণ ব্যবহার করে একটি মডেল (CCC+TL) তৈরি করে যা ডার্ক ম্যাটারের প্রয়োজন ছাড়াই মহাজাগতিক ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম।
ডার্ক ম্যাটার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে না এবং সরাসরি কখনও দেখা যায় না। দৃশ্যমান পদার্থের উপর এর মহাকর্ষীয় প্রভাব থেকে তা অনুমান করা হয়। গুপ্তের গবেষণা এসব ঘটনা ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে ডার্ক ম্যাটারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
গুপ্ত বলেন যে, মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের সাথে ডার্ক ম্যাটারের সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হতো। তবে মহাবিশ্বের প্রসারিত হওয়ার সাথে প্রকৃতির দুর্বল শক্তিকে দায়ী করা যেতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে গুপ্তের মডেল পর্যবেক্ষণ করে মহাজাগতিক ঘটনার জন্য একটি বিকল্প ব্যাখ্যা প্রস্তাব করা হয়েছে।
গবেষণার ফলাফল ডার্ক ম্যাটারের প্রচলিত ধারণা এবং মহাবিশ্বে এর ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ করছে। গুপ্তের গবেষণা বলে যে, মহাবিশ্বের ত্বরিত সম্প্রসারণ ব্যাখ্যা করার জন্য ডার্ক ম্যাটারের প্রয়োজন নাও হতে পারে।
মূল মহাজাগতিক পর্যবেক্ষণের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডার্ক ম্যাটারের মহাজাগতিক অস্তিত্বকে অস্বীকার করার ক্ষেত্রে তার গবেষণাই প্রথম। ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে এরকম গবেষণায় তবে তার অধ্যয়ন একটি অনন্য দৃষ্টিকোণ সরবরাহ করে।
“অবজার্ভড ব্যারিয়ন অ্যাকোস্টিক অসিলেশন ফিচারের সাথে টেস্টিং CCC+TL কসমোলজি” শিরোনামের গবেষণাটি অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। গুপ্তা বর্তমানে তার ফলাফলের প্রভাব অন্বেষণ করতে আরও গবেষণায় করে যাচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।