আপনি হয়তো সালেমা পর্জি মাছের নাম শুনতে পারেন। বলা হয়ে থাকে এ মাছ খেলে অনেকক্ষণ আপনি নেশার ঘোরে থাকবেন। একদল বিজ্ঞানী মনে করেন যে, এই মাছ খেলে মানুষের মধ্যে নেশা হতে বাধ্য। এমনকি এ ধরনের কিছু ঘটনা মানুষের প্রকাশ্যে এসেছে।
আবার অনেক বিজ্ঞানী দাবি করেন যে, এই মাছের মাথা না খেলে নেশা হওয়া থেকে বাঁচা যাবে। তবে বিশেষ কারো ক্ষেত্রে নেশা হতে পারে। আবার নেশা কম হবে না বেশি হবে সেটা নির্ভর করে এ মাছ কোন সময়ে ধরা হয়েছে।
নেশা হওয়ার মূল কারণ সম্পর্কে গবেষকরা মনে করেন যে, সালেমা পর্জি শরীরে ডিমেথলাইট্রাইপথামিন নামে এক ধরনের মাদক জাতীয় পদার্থ থাকে। মূলত এই মাদক দ্রব্যের কারণে নেশা হতে পারে। তবে এ নিয়ে এখনো বিস্তারিত গবেষণা হওয়া বাকি।
এ মাছ খাদ্য হিসেবে ফাইটোপ্লাংটন জাতীয় পদার্থ গ্রহণ করে থাকে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, এটির প্রভাবে মাছটির শরীরে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়। নেশা হওয়ার পেছনে এই মাছের খাদ্যাভাসকে দায়ী করা হয়েছে।
তবে বিজ্ঞানীরা আরো মনে করেন যে, সকালের মধ্যেই যে নেশা তৈরি হবে এমনটা নাও হতে পারে। কার শরীরে কতটুকু প্রভাব পড়বে তা ভিন্ন হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এ মাছ খেলে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র প্রভাবিত হতে পারে।
২০০২ সালের ৯০ বছরের এক ব্যক্তি এ মাছ খাওয়ার পর অদ্ভুত কিছু অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। তিনি মানুষের চিৎকার ও পাখির কলরব শুনতে পান। তিনি ভেবেছিলেন যে, তিনি হয়তো মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে চলেছেন। ২০০৬ এবং ১৯৯৪ সালে এ মাছ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল। সেখানে কিছু অদ্ভুত ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছিল। আপনি এ মাছ পেতে পারেন ভূমধ্যসাগরে এবং আটলান্টিক মহাসাগরের আফ্রিকা উপকূল এলাকায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।