লাইফস্টাইল ডেস্ক : রং চা ৫ টাকা, সিঙ্গারা-সমুচা ৫ টাকা। দুধ চা মিলবে ৭ টাকায়, কফি ১০ টাকায়। এছাড়া পরোটা ৬ টাকা, প্রতি পিস পাউরুটি ২ টাকা, প্রতি প্লেট ভাজি কিংবা মুগডাল কিংবা ডিম মামলেট-ডিম পোচ খাওয়া যাবে ১০ টাকা দিয়ে।
সবাই নয়, শুধুমাত্র এই টাকায় খেতে পারবেন শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা- সিএমসি ক্যাফেটেরিয়ায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার গত ১ অক্টোবর থেকে এই মূল্য তালিকা নির্ধারণ করে দেন।
তালিকা অনুযায়ী, মুরগীর স্যুপ মিলবে ২৫ টাকায়, প্রতি প্লেট সুজির হালুয়া ১০ টাকায়, চিকেন পেটিস ও ভেজিটেবল পেটিস প্রতিটি ৫ টাকা, ডিম পরোটা ১০ টাকা, কিমা পরোটা ৮ টাকা, ছানার সন্দেশ ৮ টাকা, জিলাপি ও পেঁয়াজু প্রতিটি ২ টাকা, এক প্লেট ভাত ১০ টাকা এবং হাফ প্লেট ভাত ৫ টাকা, মসুর ডাল ৫ টাকা, সবজি প্রতি প্লেট ১০ টাকা, মুরগীর মাংস ২৫-৩০ টাকা, রুই মাছ ৩০ টাকা, ইলিশ মাছ ৪০ টাকা, খাসির মাংস ৪০-৪৫ টাকা, গরুর মাংস ৩০-৪০ টাকা, আলুর চপ ১০ টাকা, ডাল পুরি ৪ টাকা, কেক-ফ্রুটস কেক প্রতি পিস ৩ টাকা, খিচুড়ি ২০ টাকা, তেহেরি ২৫ টাকা, পানি ১০ টাকা, আইসক্রীম ৬ টাকা, ড্যান্সি স্টিক ৫ টাকা, চকবার স্টিক ১০ টাকা, ম্যাংগো স্টিক ৮ টাকা, মিট রোল ১০ টাকা, ভেজিটেবল রোল ৮ টাকা, বীফ বার্গার ১৫ টাকা এবং চিকেন বার্গার মিলবে ১০ টাকায়।
প্রতিবছর চমেকে ২২০ জন এমবিবিএস শিক্ষার্থী ও ৬০ জন শিক্ষার্থী বিডিএস কোর্সে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি এখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া, শ্রীলকা, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। এছাড়াও এখানে বর্তমানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৪০টি বিষয়ে এমডি, এমএস, এমফিল, ডিপ্লোমা, এমপিএইচ শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে।
চমেক শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই থাকেন মেইন বয়েজ হোস্টেল, লুৎফুস সালাম ছাত্রাবাস, হাফিজুল্লা বসির ছাত্রাবাস এবং কান্তা ছাত্রী নিবাস ও ডা. দিলরুবা ছাত্রীনিবাসে। এছাড়া ইন্টার্ন ডাক্তারদের অনেকে থাকেন ডা. মিজান ছাত্রাবাস ও ডা. জান্নাত ইন্টার্ন ছাত্রীনিবাসে।
চমেক হাসপাতালকে ১ হাজার ৩১৩ শয্যা থেকে ২ হাজার ২০০ শয্যায় উন্নীত করার আগে থেকেই এই হাসপাতালে গড়ে ২ হাজার ৬০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালে রোগীর খাবার বাবদ দৈনিক বরাদ্দ ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ইনডোরে ভর্তি থাকা প্রত্যেক রোগীকে সকালে ও বিকালে নাস্তা এবং দুপুর ও রাতের খাবার হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
চমেক হাসপাতালে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব পায় ৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সম্প্রতি বাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাদ্য সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করে।
চার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-মেসার্স ইয়াহিয়া স্টোর, মেসার্স রাহাদ এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স জিসান এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স ফেরদৌস ট্রেডার্স। এছাড়া আরও দুটি প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে ডিম, দুধ ও হরলিকস সরবরাহ করে থাকে। মেসার্স ফেরদৌস ট্রেডার্স রুটি-বিস্কুট ও ফলমূল সরবরাহ করে। মেসার্স ইয়াহিয়া এন্টারপ্রাইজ চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটাসহ শুকনো দ্রব্যাদি সরবরাহ করে। প্রক্রিয়াজাত মাছ-মাংস সরবরাহ করে মেসার্স রাহাদ এন্টারপ্রাইজ ও বিভিন্ন তরকারি সরবরাহ করে মেসার্স জিসান এন্টারপ্রাইজ।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, নতুন দরপত্র আহ্বানের আগে মূল্য সংযোজনের সুযোগ নেই। নিয়ম অনুযায়ী নতুন ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান ঠিকাদারদের খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।