জুমবাংলা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বর্ধিত সভা চলাকালীন শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের সমর্থক সাবেক যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক রেজা বাহিনীর লোকজন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সমর্থকদের উপর হামলা চালালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
পুলিশ-প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১১টায় বেলকুচি উপজেলার চালা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শুরু হয়। আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সহধর্মিনী বেলকুচি পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশানুর বিশ্বাস মিছিলসহ বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণের জন্য দলীয় কার্যালয়ে সামনে আসেন। কার্যালয়ে ঢোকার আগেই পুলিশ বাঁধা দেয়ায় মেয়র আশানুর বিশ্বাস একাই বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণের জন্য কার্যালয়ে যান। এসময় লতিফ বিশ্বাস ও তার সহধর্মিনীর সমর্থকরা রাস্তার উপর নানা শ্লোগান দিতে থাকে। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের কোন সদস্য না হলেও একই স্থানে পূর্ব থেকে সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের সমর্থক যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক রেজার বাহিনীর লোকজন অবস্থান নেয়। সেখানে তারা যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক রেজার নামে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে রেজার বাহিনী লতিফ বিশ্বাসের সমর্থক আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হয়।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির জানান, বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় চলাকালীন পৌর মেয়র আশানুর বিশ্বাস ও যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক রেজার লোকজন মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে আসে। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে পুলিশ ৬ রাউন্ড টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।