সিলেট ও সুনামগঞ্জে জলে ভেসে গেছে ঈদ আনন্দ

জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেট ও সুনামগঞ্জে জলে ভেসে গেছে ঈদ আনন্দ। টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অনেক এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

সিলেট নগরসহ সীমান্তবর্তী উপজেলা আবারও বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। সিলেট শহরের ঘরবাড়িতেও পানি উঠেছে। এতে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন নগরবাসী।

পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ লাখ মানুষ। এতে অনেকটাই মাটি হয়েছে ঈদুল আজহার আনন্দ। বৃষ্টির পানিতে ঈদগাহ ও মসজিদ ভেসে যাওয়ায় অনেকে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেননি। পশু কোরবানি করা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

সোমবার (১৭ জুন) ভোর থেকে ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে সিলেট মহানগরের অনেক এলাকা। সেই সঙ্গে নদ-নদীর পানিও বেড়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের অনেক এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সুনামগঞ্জের লোকালয়েও ঢুকে পড়ছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। জেলা শহরের কয়েকটি পাড়ায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সুরমা নদীর পানি ছাতক ও সুনামগঞ্জ শহরে বিপৎসীমার ওপরে আছে।’

এদিকে রাত ২টা থেকে সিলেটে শুরু হয় ভারি বৃষ্টি। এতে শহরজুরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবন্ধতা। টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরের বেশির ভাগ এলাকা ডুবে গেছে। রাস্তাঘাট ডুবে বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে পানি।

ঈদের আয়োজন, কোরবানির প্রস্তুতি রেখে মানুষ এখন ব্যস্ত ঘরের আসবাব রক্ষায়। হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে হতভম্ব মানুষ ছাড়ছে কেবল দীর্ঘশ্বাস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সি‌লে‌ট জা‌নি‌য়ে‌ছে, সি‌লে‌টে র‌বিবার সকাল ৬টা থে‌কে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৩.৬ মি‌লি‌মিটার বৃ‌ষ্টিপাত হ‌য়ে‌ছে।

পা‌নি উন্নয়ন বোর্ড সি‌লেট কার্যালয় জা‌নি‌য়ে‌ছে, সি‌লে‌টে তিন প‌য়ে‌ন্টে নীর পা‌নি বিপৎসীমার ওপর দি‌য়ে প্রবা‌হিত হ‌চ্ছে। এর ম‌ধ্যে কানাইঘাট প‌য়ে‌ন্টে সুরমা নদীর পা‌নি বিপৎসীমার ৫৯ প‌য়েন্ট ওপর দি‌য়ে, ফেঞ্চুগ‌ঞ্জে কু‌শিয়ারা নদীর পা‌নি বিপৎসীমার ৬৩ সে‌ন্টি‌মিটার এবং জৈন্তাপু‌রের সা‌রিঘা‌টে সা‌রি নদীর পা‌নি বিপৎসীমার ৮ সে‌ন্টি‌মিটার ওপর দি‌য়ে প্রবা‌হিত হ‌চ্ছে।

সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ ইস্যুতে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: আইএসপিআর