জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেটের ছোটমণি নিবাসে শিশু হত্যার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আশরাফুল আলমকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কমিশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ গাজী সালাহ উদ্দিন, সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেহেনা আক্তার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কমিটির প্রধান মো. আশরাফুল আলম যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। ওই আয়াকে কোর্টে সোপর্দ করার পর সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আসছি এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কিনা বা এ রকম আরও কিছু আছে কিনা খতিয়ে দেখতে। আমরা শিগগিরই আমাদের কমিশনের রিপোর্ট পেশ করব। আপনারা জানতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ১২ আগস্ট গভীর রাতে তাকে সিলেটের সমাজসেবা অধিদফতরের ছোটমণি নিবাস থেকে আয়া সুলতানা ফেরদৌসি সিদ্দিকাকে গ্রেফতার করে এসএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ। শনিবার রাতে সিলেটের মহানগর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে আয়া সুলতানা ফেরদৌসি সিদ্দিকা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, উচ্চ রক্তচাপের কারণে ২২ জুলাই সকালে তিনি ওষুধ সেবন করেন। তাই তার মাথা ঠিক ছিল না। ওই দিন রাতে শিশু নাবিল কান্না করছিল। তার কান্নাকাটি সহ্য না হওয়ায় দুই মাস বয়সী নাবিলকে ছুড়ে মারেন। পরে বালিশচাপা দিলে তার মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনার পরপরই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ছোটমণি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক রূপক দেব, অফিস সহকারী শফিকুল ও নাজিম উদিদ্দসহ কয়েকজন ঘটনাটি গোপন রাখতে বলেন।
হত্যাকাণ্ডের দুই মাস আগে সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে শিশুটিকে ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হয়। পরে তার নাম রাখা হয় নাবিল। সে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর সন্তান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।