জুমবাংলা ডেস্ক: সুনামগঞ্জের হাওরবেষ্টিত উপজেলায় বোরো ধান অনেকটা পেকে গেলেও তীব্র শ্রমিক সংকটে তা ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা। খবর ইউএনবি’র।
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। আক্রান্তের সংখ্যা দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংক্রমণ রোধে দেশের চলছে অঘোষিত লকডাউন। ফলে কৃষকদের মধ্যে সময় মতো ধান কাটা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
কয়েকদিন ধরে জেলার বিভিন্ন হাওরের কিছু অংশে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। সংকট থাকায় আগাম টাকা দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। গত কয়েক বছর ধরে কৃষি কাজে লাভবান না হওয়ায় দরিদ্র কৃষি শ্রমিকরা এলাকা ছেড়ে কাজের সন্ধানে অন্যত্র চলে যাওয়ায় এই সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, একসময় নরসিংদী, নোয়াখালী, পাবনা, বগুড়া, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা হাওর এলাকায় ধান কাটতে আসতেন। গত কয়েক বছর ধরে হাওরে ফসলহানীর কারণে তারা এখন আর ধান কাটতে আসেন না।
এদিকে, শ্রমিক সংকটে কৃষকদের ফসলের পেছনে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। হাওরের ধান পাকতে শুরু করেছে, আর ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। সেই সাথে বৃষ্টি শুরু হলে পাহাড়ি ঢল নামার বাড়তি ভয়ও রয়েছে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস ও ধান কাটার শ্রমিক নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন মহাবিপাকে।
টাংনীর হাওরের কৃষক মুবিন চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের জন্য যোগাযোগ করছি, চাহিদার তুলনায় শ্রমিকের সংখ্যা অনেক কম। স্থানীয়ভাবে যে শ্রমিকদের পাওয়া যাচ্ছে, তাদের অনেক টাকা মজুরি দিতে হয়, সেই সাথে দুই বেলার খাবার। ফলে খরচও বেড়ে যায়।
সরকার ধান কাটার মেশিন সরবরাহ করলে কৃষকরা অনেক উপকৃত হত বলে তিনি জানান।
চাপতির হাওরের কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, ‘হাওর এলাকায় জমিগুলো বছরে একবারই ফসল হয়। এই ফসলের ওপরেই সারা বছর নির্ভর করতে হয়। আমাদের ভয় বৃষ্টি শুরু হলে হাওরে পানি আসতে শুরু করবে।’
‘আবার ধান পাকতে শুরু করলে সময় মতো তুলতে না পারলে মাঠেই ধান ঝড়ে যেতে পারে। তাই সব কৃষক চেষ্টা করছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধান কেটে ঘরে তোলার। সরকারিভাবে যদি মেশিন দিয়ে ধান কাটার ব্যবস্থা করা হয় তবে কৃষকরা তাদের ফসল সহজেই ঘরে তুলতে পারবে,’ যোগ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।