সুন্দরবনে আটকা ৫০ ফিশিং ট্রলারসহ ৭০০ জেলে

সুন্দরবনে ৭০০ জেলে আটকা

জুমবাংলা ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাগেরহাটের শতাধিক ফিশিং ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়লেও ভারতের সীমান্তে গিয়ে ৩৮ জেলেসহ ডুবে গেছে বাগেরহাটের শরণখোলার দুটি ফিশিং ট্রলার এফবি কালাম ও এফবি খায়রুল ইসলাম। অন্যদিকে, একই সময়ে ঝড় ও জলোচ্ছাসের তোড়ে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার অফিস কিল্লার চরে বনের গাছপালার মধ্যে আটকে পড়েছে ১৮ জেলেসহ দুটি ফিশিং ট্রলার।
সুন্দরবনে ৭০০ জেলে আটকা
এই ৪টি ফিশিং ট্রলারের ৫৬ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাগেরহাটের কোন জেলে নিখোঁজ থাকার খবর না মিললেও জীবিত উদ্ধার করা ৫৬ জন জেলেসহ সুন্দরবনের দুবলা, অফিস কিল্লা ও সুপতিসহ বিভিন্ন বন অফিসে আশ্রয় নেয়া ৭ শতাধিক জেলে ৫০টি ফিশিং ট্রলার নিয়ে বৈরি আবহওয়ার কারণে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লোকালয়ে ফিরে আসতে পারেনি। বাগেরহাটের ট্রলার মালিক মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

শরণখোলা সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাগেরহাটের শতাধিক ফিশিং ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়লেও ভারতের সীমান্তে গিয়ে ৩৮ জেলেসহ ডুবে যায় বাগেরহাটের শরণখোলার দুটি ফিশিং ট্রলার। তবে, ডুবে যাওয়া ফিশিং ট্রলার দুটির ৩৮ জেলেকে ওই সময় কাছাকাছি থাকা শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী সরোয়ার হোসেনের এফবি সোনার মদিনা ও আ. রহিমের অপর একটি ট্রলারের জেলেরা সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে। জীবিত ৩৮ জেলেদের নিয়ে ট্রলার দুটি ফিরে আসার সময় শনিবার সন্ধ্যায় পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার অফিস কিল্লার চরে আটকে পড়েছে। ট্রলার দুটির ৩৮ জেলেকে বনরক্ষীরা উদ্ধার করেছে।

একই সময়ে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার অফিস কিল্লার চরে বনের গাছপালার মধ্যে আটকে পড়েছে ১৮ জেলেসহ দুটি ফিশিং ট্রলার। এই দুইাট ট্রলারের ১৮ জেলেকেও বনরক্ষীরা উদ্ধার করেছে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলেপল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, সাগরে ঝড় ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে সুন্দরবনের দুবলা, অফিস কিল্লা ও সুপতিসহ বিভিন্ন বন অফিসে আশ্রয় নেয় শতাধিক ফিশিং ট্রলার। সাগর উত্তাল থাকায় রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাগেরগাটসহ বিভিন্ন জেলার ১২৫ ফিশিং ট্রলারসহ হাজারের অধিক জেলে লোকালয়ে ফিরতে পানেনি। সুন্দরবনে আশ্রয় নেয়া জেলেদের নিরাপত্তায় বন বিভাগ কাজ করছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত সড়ক প্রকল্প পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান