লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বাভাবিক ভাবেই শীতকালে পানির তেষ্টা কম থাকে। তাই পানি কম পান করা হয়। শীতে উষ্ণ অনুভব করতে প্রায়শই সবাই চা-কফির মতো গরম পানীয় পান করে। এসব বেশি মাত্রায় সেবন করা ঠিক নয়। কারণ, এসবে ক্যাফেইন থাকে, যা শরীরে পানিশূণ্যতা তৈরি করে। পরিবর্তে কিছু পুষ্টিকর এবং হাইড্রেটিং বিকল্প পানীয় বেছে নিন। দক্ষিণ ভারতের নির্বাহী পুষ্টিবিদ ভুহিতা মতুপল্লী, কিছু বিকল্প পানীয় পানের উপদেশ দিয়েছেন-
১. ভেজষ চা: চা পছন্দ করেন যারা, তাদের জন্য ভেজষ চা উত্তম। পছন্দের স্বাদ অনুযায়ী পুদিনা, আদা, ক্যামোমাইল এবং লেবু মিশ্রিত চা বা গ্রিণটি পান করতে পারেন। চা-কে আরও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে ২ টেবিল চামচ চিয়া বীজ মেশাতে পারেন। এতে ওমেগা ৩ এফএফএ রয়েছে।
২. ফলের শরবত: আধা লিটার কমলা, ২৫০ মিলি আনারস এবং ২৫০ মিলি আপেলের শরবত সসপ্যানে একত্রে মেশান। তাতে মাঝারি টুকরো দারচিনি, কয়েকটি লবঙ্গ, অল্প জয়ফল এবং দারচিনি গুড়ো দিন। অল্প আঁচে ২০ মিনিট জ্বাল করুন। ঠান্ডা হলে ফলের মিশ্রণ ছেকে নিন। তাজা ফলের টুকরা মিশিয়ে পান করুন। চাইলে লেবুর রস, চিয়াবীজ, পুদিনাপাতাও মেশাতে পারেন। এই পানীয় সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শরীরের তাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩. স্বাদু গরম পানি: ঠান্ডাজাতীয় সমস্যা এড়াতে উষ্ণ পানি পান করা উচিত। শসা, লেবু, কমলা, পুদিনা, আদা- ইত্যাদি মিশিয়ে পানীর স্বাদে একঘেয়েমী কমানো যায়। গরম পানিতে চিয়াবীজ এবং ১.২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়েও পান করতে পারেন।
৪. স্যুপ: সবজি বা মাংসের ঝোল দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খেতে পারেন। তাতে পানিশূন্যতাও কমবে, ভিটামিন এবং খনিজের অভাবও পূরণ হবে।
৫. হলুদ দুধ: ২ কাপ দুধে এক চিমটি হলুদগুড়ো দিয়ে ৫ মিনিট জ্বাল করুন। সাথে গোলমরিচ, দারচিনি এবং আদাও ব্যবহার করতে পারেন। ঠান্ডা করে মিষ্টিস্বাদের জন্য ১ চা-চামচ মধু দিন। হলুদ শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৬. জিরা পানি: ১ কাপ পানিতে ১ টেবিলচামচ আস্ত জিরা বা জিরার গুড়া দিয়ে ভালো করে সিদ্ধ করে নিন। ছেঁকে নিয়ে গরম থাকতেই পান করুন। ঠান্ডা এবং গলা ব্যথা দূর করতে এই পানীয় বেশ কার্যকর।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।