
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিসরের সুয়েজ খালে দৈত্যাকার জাহাজ এভার গিভেনের আটকে পরার ঘটনায় বাতাসে বিষাক্ত গ্যাস সালফার ডাই অক্সাইডের দ্বারা দূষণের সৃষ্টি হয়েছে। খবর বিবিসি’র।
সুয়েজ খালের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এ দূষণের সৃষ্টি হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম বিবিসি।
সেখানে বলা হয়, গত মাসে সুয়েজ খালে টানা এক সপ্তাহ আটকে থাকে কন্টেইনারবাহী জাহাজ এভার গিভেন। এর ফলে সেখানে প্রায় শতাধিক জাহাজ আটকে যায় এবং দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হয়। যা বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইডের জমা হতে সহায়তা করেছে।
জাহাজের ইঞ্জিন দ্বারা তেল পোড়ানোর কারণে সালফার ডাই অক্সাইডের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থা (আইএমও) ক্ষতিকারক প্রভাবগুলির কারণে গ্যাসের নির্গমন সীমাবদ্ধ করতে কাজ করছে। অন্যথায় আবহাওয়া ও মানবদেহের জন্য তা ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটকে পরা জাহাজের বেশিরভাগ খালের উত্তর প্রান্তে নোঙ্গর করা হয়েছিল। তাদের প্রধান ইঞ্জিনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হলেও সহায়ক শক্তি ইউনিট এবং বয়লারগুলো চালু করা ছিল। যা স্থানীয়ভাবে বায়ুমণ্ডলে সালফার ডাই অক্সাইডের দূষণ সৃষ্টি হতে সহায়তা করেছে। আর এটি ধরা পরেছে ইইউর সেন্টিনেল-৫পি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।
এদিকে, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ না দিলে জাহাজটিকে মিসর ছেড়ে বের হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে সুয়েজ কর্তৃপক্ষ। আর সেই ক্ষতিপূরণের অংক হতে পারে ১০০ কোটি ডলার পর্যন্ত। খাল কর্তৃপক্ষের প্রধান ওসামা রাবি গত সপ্তাহে স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া এবং ক্ষতিপূরণ না দেয়া পর্যন্ত জাহাজটি এখানেই থাকবে। আমরা দ্রুত সমঝোতার আশা করছি। যে মুহূর্তে তারা রাজি হবে, জাহাজটি তখনই যাওয়ার অনুমতি পাবে।
জানা যায়, দৈত্যাকার জাহাজটিকে নড়াতে কাজ করা ৮০০ শ্রমিকের পারিশ্রমিক, ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির খরচ এবং ড্রেজিংয়ের কারণে খালের যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে এই অর্থ দাবি করা হবে। তাছাড়া, এভার গিভেন মাঝপথে আটকে থাকায় সুয়েজের দুইপাশে যে ৪০০ জাহাজ আটকা পড়েছিল, তাদের অর্থও ফিরিয়ে দেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।