আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে কারাবন্দি নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) একজন সাবেক সংসদ সদস্যসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সামরিক আদালত। দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাবেক সংসদ সদস্য ফিও জেয়র থাও ও অধিকারকর্মী কিয়াও মিন ইউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জান্তা সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। খবর আল জাজিরা’র।
ফিও জেয়র থাওয়ের প্রকৃত নাম মং খিউ। গত নভেম্বরে একটি বাণিজ্যিক ভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে জান্তা সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির সামরিক বাহিনীর দাবি, গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে দুটি পিস্তল, গুলি এবং একটি এম–১৬ রাইফেল উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দেশের সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়। এ মামলার রায় হয় শুক্রবার (২১ জানুয়ারি)। ২০১৫ সালে এনএলডি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফিও।
এদিকে, ফিওয়ের সঙ্গে কিয়াউ মিন ইউ নামের আরেক অধিকারকর্মীর মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা জানায় সামরিক সরকার। তিনি মিয়ানমারে ১৯৮৮ সালে বৃহত্তর ছাত্র আন্দোলনের সময় ভূমিকা রেখে আলোচনায় আসেন। গতবছর অক্টোবরে আটক হন তিনি।
সম্প্রতি মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে নতুন আরও পাঁচটি অভিযোগ গঠন করেছে দেশটির সামরিক জান্তা সরকার। এক কর্মকর্তা জানান, ক্ষমতায় থাকাকালীন একটি হেলিকপ্টার কেনার ক্ষেত্রে সম্পৃক্ততার কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সু চিকে এর আগে বেশ কিছু অভিযোগে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও নিজের কাছে রাখা এবং করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় বসে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টি। তাদের পাঁচ বছর দেশ শাসন করার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনে বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী।
এরপরেই দেশজুড়ে সেনাবাহিনীর বিপক্ষে ব্যাপক বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়। তবে সবকিছুই কঠোর হাতে দমন করেছে জান্তা সরকার। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪৬৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১১ হাজার ৫শর বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে দেশটিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।