জুমবাংলা ডেস্ক: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় চেয়ারম্যানকে তালাকের পরের দিনই প্রেমিক রমজানকে বিয়ে করে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে ওই কিশোরী।
রবিবার (২৭ জুন) রমজানের মামাবাড়িতে সেই আগের কাজী ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান। এর আগে শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে তালাক দেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কুম্ভখালী গ্রামের মামাশ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করছে কিশোরী।
তালাক দেয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বিচারপ্রার্থী কিশোরীকে বিয়ে করে চেয়ারম্যান বিপাকে পড়েছেন। সামাজিক ও পারিবারিক চাপসহ আইনি জটিলতা এড়াতে চেয়ারম্যান কৌশলে কিশোরীর কাছ থেকে তালাকনামা রেখেছেন। অবশ্য ওই কিশোরী বলেছেন, রোববার (২৬ জুন) তার প্রেমিক রমজানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে।
অন্যদিকে ওই বিবাহকাণ্ডে শাহীন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহের অভিযোগ প্রশ্নে আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে পটুয়াখালীর ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে মীমাংসার জন্য যান উভয় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে সোহেল ও কিশোরীর বিয়ে বিচ্ছেদ করান চেয়ারম্যান। সালিশ বৈঠকে বসে কিশোরী তার প্রেমিক রমজানের সঙ্গে সংসার করতে চায়। এ সময় চেয়ারম্যান কিশোরীকে দেখে পছন্দ করেন। পরে কিশোরীর পরিবারের সম্মতি নিয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কাজী ডেকে চেয়ারম্যান বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।