আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া অধিকৃত দোনেৎস্কের গুরুত্বপূর্ণ লাইমান শহরে ওড়ানো হলো ইউক্রেনের পতাকা। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের প্রবেশ পথে ইউক্রেনের সৈন্যরা দেশটির নীল-হলুদ রাষ্ট্রীয় পতাকা উত্তোলন করছে। এ সময় হাজার হাজার রুশ সৈন্যকে দেখা যায়।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এখনও লাইমানের পুনর্দখল নিশ্চিত করেনি।
এর আগে রাশিয়া অধিকৃত লাইমান শহর ইউক্রেন সেনারা ঘিরে ফেলেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর মুখপাত্র শেরহি চেরেভাতি। একইসঙ্গে বিভিন্ন স্থাপনা পুনর্দখল করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
ইউক্রেনের টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সর্বশেষ তথ্য মতে, লাইমানে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার রুশ সেনা ছিল। কিন্তু সর্বশেষ সম্মিলিত আক্রমণে অনেক রাশিয়ান সৈন্য মারা যাওয়া বা আহত হওয়ায় এই সংখ্যা অনেক কমে এসেছে।
শেরহি চেরেভাতি বলেন, রাশিয়ান সৈন্যদের পালানোর সব ধরনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, লাইমান শহরটি দখলে নিতে পারলে ইউক্রেনের সৈন্যরা রাশিয়া অধিকৃত ক্রেমিনা ও সেভেরোদেনেৎস্ক শহরের দিকে অগ্রসর হতে পারবে।
মনস্তাত্বিকভাবেও এই শহরটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন শেরহি চেরেভাতি। ইউক্রেনের সৈন্যরা ঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও এখনও সামরিক অভিযান শেষ হয়নি।
এদিকে দোনেৎস্কের লাইমানে রাশিয়ার জন্য এখন মাত্র দুটি পথ খোলা আছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা দাবি করেন, রাশিয়ার সৈন্যরা তাদের ঊর্ধ্বতনদের কাছে শহরটি ত্যাগের অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
লুহানস্কের আঞ্চলিক প্রধান শেরহি হাইদাই বলেছেন, রাশিয়ান সৈন্যদের সামনে এখন দুটি পথ খোলা আছে। হয় পালানোর চেষ্টা করা অথবা আত্মসমর্পণ করা।
শেরহি হাইদাই দাবি করেন, গোলাবারুদ সরবরাহসহ লাইমানে যাওয়ার সব রুট এখন বন্ধ। যদিও নিরপেক্ষভাবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে শুক্রবার রাশিয়া অধিকৃত দোনেৎস্কের নেতা ডেনিস পুশিলিন বলেন, লাইমান শহরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়েছে।
গত মে মাসের শেষে দিকে দোনেৎস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর লাইমান দখলের পর রাশিয়ার সৈন্যরা এটিকে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করছে।
রাশিয়ান সৈন্যরা শহরটিকে তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট ও অস্ত্রের সরবরাহের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে।
শুধু তাই নয়, লাইমান শহরটি দোনেৎস্ক, লুহানস্ক ও খারকিভ অঞ্চলের রেল যোগাযোগের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।