বিনোদন ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী ৭ মার্চের ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত একটি চলচ্চিত্র ‘গন্তব্য’। গত বছরের মার্চে এমন ঘোষণায় দিয়েছিলেন তরুণ পরিচালক অরণ্য পলাশ। শুরু থেকে আর্থিক সমস্যার কারণে থেমে থেমে প্রায় দুই বছর সময় ধরে শুটিং করেছে পুরো টিম। যদিও ছবির মূল প্রযোজক সরে যাওয়ায় নিজের প্রযোজনায় ছবিটির নির্মাণ শেষ করেন পরিচালক।
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা এই সিনেমার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা নায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেছিলেন, ‘‘গন্তব্য’ আমার মনের মতো একটি ছবি’। অথচ এই ছবির পরিণতি আজ করুণ, আর পরিচালকের অবস্থা শোচনীয়।
বাবার পেনশনের টাকা, জায়গা-জমি, স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে ৭০ লাখ টাকায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করে এখন পুরোপুরি ‘নিঃস্ব’ অরণ্য পলাশ। বাস্তবতার কাছে পরাজিত এই সৃষ্টিশীল মানুষটি কোথাও চাকরি না পেয়ে এখন জীবিকার তাগিদে মিরপুরের একটি রেস্তোরাঁয় ২৫০ টাকা হাজিরা ও তিনবেলা খাওয়ার চুক্তিতে ওয়েটারের কাজ করছেন তিনি।
শোবিজ জগতে এই সংবাদ ও এই পরিচালকের কাহিনী এখন সবার আলোচনার বিষয়। এমনকি ভারতীয় মিডিয়াতেও সংবাদ প্রচার হয় এই ঘটনা নিয়ে। তবে এতদিন পর মুখ খুললেন ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা ফেরদৌস আহমেদ। তবে সহমর্মিতার বদলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন পরিচালক অরণ্য পলাশের উপর।
এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, “পরিচালক যদি চলচ্চিত্রটি প্রচারণার জন্য এমন করেন, তবে সেটা হবে তার ভুল। এই ছবিতে আমি তেমন পারিশ্রমিক নিইনি। তাকে এই কাজটি শেষ করতে অনেক হেল্প করেছি। এমনকি পরিচালক আমার কাছে বিভিন্ন রকমের সুযোগ-সুবিধা চাইলে আমি তাকে চ্যানেল আই ও বিভিন্ন রকমের বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছি।”
ফেরদৌস আরো বলেন, ‘চলচ্চিত্রের কাজ করতে গেলে আটঘাট বেঁধে নামতে হয়। চলচ্চিত্র তো বড়লোক আর জমিদারদের কাজ। তার টাকা নেই, তাহলে কেন তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে আসলেন? আমার মনে হয়, তার জন্য পরিচালক ও কলাকুশলীসহ চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা হেয় হচ্ছেন। টাকার অভাবে ক্যান্টিনে কাজ করে খাব, এমন তো নয়। বিষয়টি অতি লজ্জাজনক। ’
‘গন্তব্য’ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, আইরিন, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী রাজু, আফফান মিতুলসহ অনেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।