জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করার কোনো চেষ্টাই দেশের জন্য বড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা চাই না আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনী কোনোভাবে বিতর্কের মুখে পড়ুক। এ বিষয়ে যেকোনো মন্তব্য ও কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা সবার দায়িত্ব।’
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ‘বিশেষ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য আলোচনা এবং ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।’ তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বানের অনুরোধ জানান। সংঘাত, বিভাজন ও কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন জামায়াত আমির।
তিনি বলেন, ‘সমস্যা যত জটিল হোক, আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান সম্ভব। এজন্য আমরা সরকারকে সর্বদলীয় সংলাপের উদ্যোগ নিতে বলেছি।’
সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই দুটি বিষয়ে পরিষ্কার রূপরেখার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনো জনগণের সামনে তা উপস্থাপন করা হয়নি। সরকার এ দুটি বিষয়ে দ্রুত রোডম্যাপ দিলে জনগণের আস্থা ফিরে আসবে।’
মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘মানবিক করিডরের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, অথবা পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ওপর এ সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে।’
চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের ৭০ শতাংশ বৈদেশিক বাণিজ্য এই বন্দরকেন্দ্রিক। হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে আগাতে হবে।’
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া নির্বাচনের সময়সূচিকে আমরা শুরু থেকেই মেনে নিয়েছি এবং সহায়তা করে আসছি।’ তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোকেও সহযোগিতার আহ্বান জানান।
মজলিসে শুরার অধিবেশনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।