স্পোর্টস ডেস্ক: তাক লাগিয়ে দেবে সেনেগাল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে এমন ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল আট বছর পর বিশ্বকাপে ফেরা সেনেগাল। প্রথম পর্বে তাদের পারফরম্যান্সের ধার ভালো থাকায় আত্মবিশ্বাস পেয়েছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন ইংল্যান্ড তখন শুধু আত্মবিশ্বাসে কাজ হয় না। মাঠের লড়াইয়েও সেরা হতে হয়।
সেনেগাল প্রি কোয়ার্টারের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তেমন কিছুই করতে পারেনি। ইংল্যান্ড ধরে রেখেছে আধিপত্য। গোল করার অভ্যাস। প্রথম পর্বে ৯ গোল করা দলটি নক আউট পর্ব শুরু করলো ৩ গোল করে। বিপরীতে গোল হয়নি একটিও। ৩-০ গোলে সেনেগালকে হারিয়ে ইংলিশ লায়ন্সরা অতি সহজেই পৌঁছে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে।
প্রথমার্ধেই ম্যাচের নাটাই নিজেদের কাছে নিয়ে নেয় সাউথগেটের শিষ্যরা। হ্যান্ডারসন ও কেনের গোলে লিড ২-০। ফিরে এসে সাকার গোলে ব্যবধান বাড়ে। গোলের ক্ষুধায় মগ্ন সাউথগেট রিজার্ভ খেলোয়াড়দের নামিয়ে আক্রমণে আরো শক্তি বাড়ান। পরিকল্পনামতো আক্রমণও চালায় র্যাশফোর্ড, কেনরা। কিন্তু সেনেগালের রক্ষণদূর্গ আর ভাঙতে পারেনি। তাতে আক্ষেপ থাকার কথা না। কারণ জয় ততক্ষণে সুনিশ্চিত।
কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। রাশিয়া বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলছে। গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে প্রি কোয়ার্টারেও এমবাপ্পে, গ্রিজম্যানরা দারুণ ছন্দে রয়েছে। ইংল্যান্ডও তাই। তাইতো দুই দলের ম্যাচটা ফাইনাল বা সেমিফাইনালের ‘ড্রেস রিহার্সেল’ হিসেবে ধরছেন কেউ কেউ।
সেনেগালের বিরুদ্ধে সাউথগেটের শিষ্যরা ছিলেন ধ্রুপদী। নিখুঁত প্লেসিং, আঁটসাঁট নিয়ন্ত্রণ, দুর্দান্ত গতি আর ছন্দময় আক্রমণে চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে সবার। ওয়ান টু ওয়ান কিংবা মার্ক করা প্লেসিং ফুটবলের সঙ্গে গতির যে মেলবন্ধন তা ফুটে উঠেছে দারুণভাবে।
ম্যাচের শুরুতে সেনেগাল আগ্রাসী ফুটবলে নজর কাড়লেও প্রথম গোল হজমের পর তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৩৮ মিনিটে মধ্য মাঠ থেকে বল পেয়ে বলিংহ্যাম এক টাচে ভেতরে ঢুকে যান। ডি বক্সের ভেতরে গিয়ে ক্রস করেন হ্যান্ডারসনের উদ্দেশ্যে। সেখানে বাঁ পা পায়ের আলতো টোকায় অতি সহজেই গোল করেন হ্যান্ডারসন।
প্রথমার্ধের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন গোল করেন। কাউন্টার অ্যাটাকে মধ্য মাঠ থেকে বল পেয়ে ফরোয়ার্ডে বাড়িয়ে দেন হ্যান্ডারসন। বল পান কেন। অপরপ্রান্তে থাকা ফোডেনকে এক পাসে বল দিয়ে অ্যাটাকে যান ইংলিশ অধিনায়ক। বল নিয়ে একটু ভেতরে ঢুকে ফোডেন আবার ফিরতি পাস দেন কেনকে। কেন এবার ফাঁকায় বল পেয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে স্থির হয়ে ডানপায়ের জোড়ালে শটে ভাঙেন সেনেগালের দূর্গ।
বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল করে অসাধারণ এক রেকর্ডও গড়েছেন কেন। মেজর প্রতিযোগিতায় (বিশ্বকাপ ও ইউরো) এটি তার ১১তম গোল। তিনি পেছনে ফেলেছেন গ্যারি লিঙ্কারকে (১০)। বিশ্বকাপে কেন গোল করেছেন ৭টি। ইউরোতে ৪টি।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ বাড়িয়ে দেয় ইংল্যান্ড। তাতে গোলের দেখা পেয়ে যায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ৫৭ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে ফোডেনের ক্রস থেকে গোল করেন সাকা। গোল রক্ষককে ফাঁকি দল বল হাল্কা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাতে সফল হন এই ফরোয়ার্ড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।