নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া তিন দিনের সেফ ফুড কার্নিভালে বহুজাতিক ফুড চেইন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝেও ভোজনরসিকদের দৃষ্টি কেড়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান খানা’স। কার্নিভালের শেষ দিনেও ফুড চেইনটির স্টলে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ফুড কার্নিভালটি গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার।
এখানে হলিডে ইন, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ক্রাউন প্লাজা, প্যান প্যাসিফিক, ঢাকা রিজেন্সি, হোটেল আমারি, কেএফসি, পিৎজা হাট, ডমিনোস, হারফি, বার্গার কিং এর মতো প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করেছিল দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করা দেশীয় ফুড চেইন প্রতিষ্ঠান খানা’স।
নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করতে দেশে প্রথমবারের মতো এই কার্নিভালের আয়োজন করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। শুরু থেকেই ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করায় এই কার্নিভালে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় খানা’স। কার্নিভালে আসা দর্শনার্থীরা তাদের প্রিয় রেস্টুরেন্টের স্টল পেয়ে ভিড় জমায়।
খানা’স-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে ‘আন্ডে খানা’ নামে একটি স্ট্রিট ফুডকার্ট থেকে। এটি বাংলাদেশের প্রথম কোন স্ট্রিট ফুডকার্ট যেটির ৩টি ফ্রাঞ্চাইজিজ বিক্রি হয়েছিল। ‘এন ইকনমি রিফ্রেশমেন্ট’ আইডিয়া থেকে সৃষ্ট আন্ডে খানা পরবর্তিতে খানা’স রেস্টুরেন্টে রূপান্তরিত হয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় ফুডচেইনে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে খানা’স ঢাকায় এবং নারায়ণগঞ্জে তার ১৪টি শাখার মাধ্যমে ৫০০ এর অধিক জনশক্তি নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে কার্যক্রম সম্প্রসারনের পাশাপাশি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহুজাতিক রূপ নেয়ার লক্ষ্যেও কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি ।
শনিবার কার্নিভালের শেষ দিনের কার্যক্রমের শুরু হয় পিঠা প্রতিযোগিতার ম্যধ দিয়ে। এর পর সারাদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুইজিন প্রদর্শনী, পুতুল নাচ প্রদর্শনী হয়। সমাপনি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় কার্নিভালের যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।