পুজোর মরশুমে নতুন পোশাকের পাশাপাশি ক্রেতাদের নজর আকর্ষণ করে নানা ধরনের গ্যাজেটের ওপর, যার মধ্যে মোবাইল অন্যতম। আর এখন আর কেউ শুধু কথা বলার বা মেসেজ করার জন্য মোবাইল কেনে না, সবাই খোঁজে উন্নত ক্যামেরা, শক্তিশালী প্রসেসর এবং আকর্ষণীয় ডিসপ্লে। এই মুহূর্তে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে বাজারে এসেছে এমন কিছু মোবাইল, যেগুলির ক্যামেরা ও পারফরম্যান্স উভয়ই দুর্দান্ত। নীচে এমন ৬টি সেরা মোবাইলের তালিকা তুলে ধরা হলো।
১. নাথিং ফোন (থ্রি এ) প্রো
নাথিং ফোন তাদের ইউনিক ডিজাইন এবং দুর্দান্ত সফটওয়্যার এক্সপেরিয়েন্সের জন্য যথেষ্ট জনপ্রিয়। এই ফোনটির ক্যামেরা বেশ উন্নতমানের। এটিতে একটি ৫০ মেগাপিক্সেলের মূল সেন্সর, একটি ৫০ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্স এবং একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স রয়েছে। এই ক্যামেরাটি কম আলোতেও ভালো ছবি তুলতে সক্ষম। তাছাড়া, এই মোবাইলটির ডিজাইনও বেশ আকর্ষণীয়। এটিতে একটি LTPO অ্যামোলেড ডিসপ্লে রয়েছে। একইসঙ্গে রয়েছে দ্রুত চার্জিংয়ের সুবিধা। এই মোবাইলে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৭এস জেন ৩ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে।
২. মোটোরোলা এজ ৫০ প্রো
‘মোটোরোলা’র এই ফোনটি তার ক্যামেরা এবং ডিজাইনের জন্য ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই মোবাইলে একটি ৫০ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা, একটি ১০ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্স এবং একটি ১৩ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স রয়েছে। এতে OIS (অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন) থাকায় ভিডিও রেকর্ডিং করার সময়েও ছবি কোনওভাবে কেঁপে যায় না, স্থির থাকে। সেইসঙ্গে, এই মোবাইলে একটি p-OLED ডিসপ্লে এবং ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা থাকছে। এর ডিজাইনও অত্যন্ত প্রিমিয়াম কোয়ালিটির।
৩. iQOO নিও ১০ আর
যাঁরা তাঁদের মোবাইলেই গেমিং এবং ক্যামেরা – দু’টিরই ভালো পারফরম্যান্স চান, তাঁদের জন্য iQOO নিও ১০ আর একটি ভালো অপশন হতে পারে। এতে একটি ৫০ মেগাপিক্সেলের সোনি IMX882 সেন্সর-সহ OIS যুক্ত মূল ক্যামেরা এবং একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা রয়েছে। তাছাড়াও অত্যাধুনিক স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন ৩ প্রসেসর থাকায় এটি গেমারদের জন্য আদর্শ। এই মোবাইলে বড় ডিসপ্লে এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি রয়েছে।
৪. রিয়েলমি পি থ্রি আল্ট্রা
রিয়েলমি তাদের স্মার্টফোনে দ্রুত চার্জিং এবং আকর্ষণীয় ক্যামেরার জন্য পরিচিত। রিয়েলমি পি থ্রি Ultra-তে একটি ৫০ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা সেন্সর আছে। এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক ডায়মেনসিটি ৮৩৫০ আল্ট্রা প্রসেসর। এর ডিসপ্লে অ্যামোলেড এবং এতে একটি বড় ব্যাটারিও রয়েছে, যা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পারে।
৫. পোকো এফ ৬
নির্ধারিত দামের মধ্যে পোকো তাদের ফ্ল্যাগশিপ-গ্রেড পারফরম্যান্সের জন্য খুবই জনপ্রিয়। সংশ্লিষ্ট মোবাইলটিতে OIS-সহ একটি ৫০ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা এবং একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স রয়েছে। যা খুব ভালো মানের ছবি তোলা এবং ভিডিও রেকর্ড করার জন্য উপযুক্ত। এর পাশাপাশি, এতে স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন ৩ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং একটি শক্তিশালী ব্যাটারি থাকায় এই মোবাইল বা গ্যাজেটটি আদতে সম্পূর্ণ প্যাকেজ হয়ে উঠেছে!
৬. স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৩৬ ৫জি
যাঁরা একইসঙ্গে ব্র্যান্ডের নির্ভরযোগ্যতা এবং ভালো মানের ক্যামেরা চান, তাঁদের জন্য স্যামসাং একটি ভালো অপশন। আর, স্যামসাং-এর এই ফোনটিতে একটি ৫০ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা রয়েছে। পাশাপাশি, এতে সুন্দর অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং একটি বড় ব্যাটারি রয়েছে। স্যামসাংয়ের ওয়ান ইউআই ইন্টারফেসও যথেষ্ট জনপ্রিয়।
মানুষের সঙ্গে কম্পিউটারের পার্থক্য কোথায়? উত্তর জানলে অবাক হবেন
এই মোবাইলগুলি ছাড়াও বাজারে আরও অনেক ভালো-ভালো অপশন রয়েছে। তবে, যেকোনও মোবাইল কেনার আগে বিভিন্ন রিভিউ দেখে নেওয়া এবং নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচার বেছে নেওয়া উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।