Close Menu
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Bangla news
Home সেরা বিজ্ঞানীর সেরা আবিষ্কার
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

সেরা বিজ্ঞানীর সেরা আবিষ্কার

Saiful IslamOctober 23, 202311 Mins Read
Advertisement

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : পৃথিবী বদলে দেওয়া একজন

আলবার্ট আইনস্টাইন ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৩ সালে অ্যাডলফ হিটলার জার্মানিতে ক্ষমতায় আসার সময় আইনস্টাইন বার্লিন একাডেমি অব সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন। ইহুদি হওয়ার কারণে তাঁর ওপর নানা ধরনের অত্যাচার আর নিপীড়ন আসতে থাকে। একসময় আইনস্টাইন দেশত্যাগ করে আমেরিকায় চলে যেতে বাধ্য হন। পরে আর জার্মানিতে ফিরে যাননি। পরে আমেরিকাতেই তিনি স্থায়ী নাগরিকত্ব লাভ করেন। আইনস্টাইন যখন খুব ছোট তখন তাঁর বাবা-মা ভীষণ চিন্তিত ছিলেন। কারণ তাঁর ছেলেবেলা ছিল একেবারেই সম্ভাবনাহীন। পড়া আর লেখা শিখতে শিখতে সাতটি বছর কেটে যায়। ক্লাসের কেউ তাঁর সঙ্গী ছিল না। অন্য শিশুদের এড়িয়ে চলতেন আইনস্টাইন। ১৫ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে দেন। মা-বাবা অনেক বুঝিয়ে জুরিখের সুইস পলিটেকনিক্যালে পড়ার ব্যাপারে রাজি করান তাঁকে। কিন্তু ১৮৯৫ সালে পলিটেকনিক্যালের ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারলেন না আইনস্টাইন। গণিতে পারদর্শী হলেও উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা এবং ভাষা বিভাগে ব্যর্থ হন তিনি। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। পরের বছর ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেন। ১৮৯৬ থেকে ১৯০০- এই চার বছরের কোর্স পাস করে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন আইনস্টাইন। ১৯০২ সালে বন্ধু মার্সেল গ্রোসম্যানের বাবার সুপারিশে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্ন শহরের পেটেন্ট অফিসে তৃতীয় শ্রেণির টেকনিক্যাল এক্সপার্ট হিসেবে চাকরি পান আলবার্ট আইনস্টাইন। ১২ জনের দলে একজন নিম্নপদের কেরানি ছিলেন তিনি। অফিসের কাজ শেষ করার পরও হাতে সময় থাকত তাঁর। সেই সময়টাতে তিনি নিজস্ব গবেষণা করতেন। ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন চারটি মৌলিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন, যার জন্য পরে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এ বছরই তিনি তাঁর পিএইচডির থিসিস লিখে জমা দেন। এর সবই করেছেন অফিসের কাজের পর তাঁর নিজস্ব সময়ে। থিওরি অব রিলেটিভিটি বা আপেক্ষিকতার তত্ত্ব আবিষ্কার করে আলবার্ট আইনস্টাইন পদার্থবিজ্ঞানের দুনিয়ায় বিপ্লব আনেন। থিওরি অব রিলেটিভিটি মতে, আমাদের দৃশ্যমান সময়ের পরিমাণ, আমাদের আপেক্ষিক বেগের উপর নির্ভর করে। সহজ কথায়, সময়ের পরিমাণ বেগের সঙ্গে পরিবর্তনশীল। আইনস্টাইনের আগে কোনো বিজ্ঞানী এই বিষয়ে ধারণা দিতে পারেননি। আইনস্টাইনের আবিষ্কার করা তত্ত্বের তালিকায় রয়েছে ফটোইলেকট্রিক ইফেক্ট, স্পেশাল রিলেটিভিটি, ভরশক্তির সূত্র, জেনারেল রিলেটিভিটি ইত্যাদি। ১৯২১ সালে তিনি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

জগৎসেরা বিজ্ঞানী নিউটন

সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং বিখ্যাত তিন গতির সূত্রের আবিষ্কারক স্যার আইজ্যাক নিউটন। তিনি ছিলেন একাধারে প্রখ্যাত ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং আলকেমিস্ট। নিউটনের প্রাথমিক শিক্ষা বাড়ির পাশের এক ছোট্ট স্কুলে সম্পন্ন হয়। ১২ বছর বয়সে তাঁকে গ্রান্থামের ব্যাকরণ স্কুলে পড়াশোনার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে তিনি এক ওষুধ প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতার বাড়িতে থাকতেন। স্কুলজীবনেই তাঁর মেধার পরিচয় প্রকাশ পায়। সে বয়সেই তিনি উইন্ডমিল, জল-ঘড়ি এবং সান-ডায়াল তৈরি করেছিলেন। এ ছাড়া তাঁর গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ ছিল একটি চার চাকার বাহন যা আরোহী নিজেই টেনে চালাতে পারতেন। নিউটনের চাচা বার্টন কগলিসের তাঁর এই প্রতিভা দেখে ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি করেন। কলেজ ছুটির সময় এবং দিনের বেশির ভাগ সময় তাঁর বাগানেই কাটত। একদিন গাছের নিচে বসে থাকা অবস্থায় একটি আপেল পড়ল। হুট করে মাথায় নানা প্রশ্ন জড়ো হতে লাগল- কেন আপেলটি আকাশে না উঠে মাটিতে পড়ল? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই বেরোলো মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব। নিউটন প্রথম দেখিয়েছিলেন, পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সব বস্তু একই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। কেপলারের গ্রহীয় গতির সূত্রের সঙ্গে নিজের মহাকর্ষ তত্ত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। রৈখিক এবং কৌণিক ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্রের মাধ্যমে বলবিজ্ঞানের ভিত্তিভূমি রচনা করেন নিউটন। ১৬৬৮ সালে নিউটন প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করেন। এটি ‘নিউটনীয় দূরবীক্ষণ যন্ত্র’ হিসেবে পরিচিত। আলোর প্রতিসরণও তাঁর আবিষ্কার। ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে নিউটন অপটিক্স নামক একটি গ্রন্থ লেখেন যাতে তিনি আলোর কণা তত্ত্ব বিষয়ে তাঁর অভিমত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন। শব্দের দ্রুতি এবং শীতলীকরণ প্রক্রিয়া বিষয়েও নিউটন গবেষণা পরিচালনা করেন যা থেকে নিউটনের শীতলীকরণ সূত্র এসেছে। গণিতের জগতেও নিউটনের আধিপত্য অনস্বীকার্য। নিউটন এবং লাইবনিজ যৌথভাবে ক্যালকুলাস নামে গণিতের একটি নতুন শাখার পত্তন ঘটান। এই নতুন শাখাটিই আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জগতে বিপ্লব সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া পাই-এর মানের জন্য একটি নতুন সূত্র আবিষ্কার করেন। এ ছাড়া তিনি কাচের গ্লোব ব্যবহার করে স্থির-বৈদ্যুতিক জেনারেটর তৈরি করেছিলেন। ১৬৯৫ সালে তিনি যুক্তরাজ্য সরকারের ‘ওয়ার্ডেন অব দ্য মিন্ট’ এবং পরে ‘মাস্টার অব দ্য মিন্ট’ হিসেবে কাজ করেন। ১৭০৫ সালে তাঁকে নাইট উপাধি দেওয়া হয়।

ফ্লেমিং দিলেন অ্যান্টিবায়োটিক

আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ছিলেন একজন স্কটিশ জীববিজ্ঞানী ও ফার্মাকোলজিস্ট। স্কটল্যান্ডে জন্মেছিলেন তিনি। এরপর এক সময় ইংল্যান্ডের লন্ডনে চলে যান। বড় ভাই চিকিৎসক ছিলেন। তাঁর পরামর্শেই তিনিও এমবিবিএস পড়তে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৯০৬ সালে এমবিবিএস শেষ করেন। এরপর ১৯০৮ সালে ব্যাকটেরিয়াবিদ্যায় স্বর্ণপদকসহ অনার্স শেষ করেন। তাঁর সবচেয়ে বড় আবিষ্কার ছিল অ্যান্টিবায়োটিক পেনিসিলিন। সেটাও অনেকটা দুর্ঘটনাবশত। ফ্লেমিং বলেছিলেন, ‘১৯২৮ সালের সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখে ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর আমার প্ল্যান কোনোভাবেই এমন ছিল না যে, আমি পৃথিবীর প্রথম ব্যাকটেরিয়া-হত্যাকারী বা প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করে চিকিৎসার জগতে বিপ্লব নিয়ে আসব। কিন্তু হয়তো ঠিক সেটাই আমি করে ফেলেছি।’ স্ট্যাফাইলোকক্কাস নামে একটি ব্যাকটিরিয়া নিয়ে কাজ করছিলেন ফ্লেমিং। কাজ শেষ করে ছুটি কাটাতে চলে গেলেন ফ্লেমিং। কিন্তু গবেষণাগারের পেট্রিডিশটি ধোয়ার কথা ভুলে গিয়েছিলেন বেমালুম। গবেষণাগারে এক ধরনের গোলাকার পাত্র ব্যবহার করা হয়, তাকেই বলে পেট্রিডিশ। গ্রীষ্মের ছুটি কাটিয়ে এসে তিনি পেট্রিডিশটি ভালো করে খেয়াল করেন। সংক্রমিত সেই পেট্রিডিশকে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রাখতেই খেয়াল করলেন পেনিসিলিয়াম নোটাটাম ছত্রাকটি স্ট্যাফাইলোকক্কির স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাধা তৈরি করছে। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং আরও কয়েক সপ্তাহ সময় নিয়ে বেশ কিছু পেনিসিলিয়াম ছত্রাক জোগাড় করে পরীক্ষা করেন। পেনিসিলিয়ামের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যেগুলো শুধু ব্যাকটেরিয়ার স্বাভাবিক বৃদ্ধিকেই বাধা দেয় না, সংক্রামক অনেক রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখতে পারে। পেনিসিলিয়াম ছত্রাক থেকে পেনিসিলিন আবিষ্কারের পেছনে অবশ্য বিজ্ঞানী ফ্লেমিংয়ের চেয়ে জার্মান বংশো™ূ¢ত ইংরেজ প্রাণরসায়নবিদ আর্নেস্ট চেইনের কৃতিত্ব কোনো অংশে কম নয়। মানুষের শরীরে ব্যবহারযোগ্য অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারে তাঁর অবদান ভুলে গেলে চলবে না।

বিদ্যুতের জাদুকর নিকোলা টেসলা

নিকোলা টেসলা, যাকে বিদ্যুতের জাদুকর বলে চেনে এ বিশ্ব। তাঁর জন্ম ১৮৫৬ সালে, অস্ট্রিয়ান হাপসবুর্গ সাম্রাজ্যে। তিনি যে শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন সেই স্মিলিয়ান এখন ক্রোয়েশিয়ার অংশ। যদিও তাঁর পরিবার ছিল সার্বিয়ান। ১৮৭৪ সালে টেসলা অস্ট্রীয়-হাঙ্গেরীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তরুণ বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ক্যারিয়ার শুরু হয় বুদাপেস্টের টেলিফোন এক্সচেঞ্জে। সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর যোগ দিলেন প্যারিসের অ্যাডিসন ইলেকট্রিক কোম্পানিতে। কাজকর্মে তাঁর দক্ষতা টের পেয়ে কদিন পরই আমেরিকায় এডিসন কোম্পানির নিউইয়র্ক শাখায় পাঠানো হলো তাঁকে। ইলেকট্রিক জেনারেটর আর লাইট বানানো ও মেরামত করার দক্ষতায় সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন তিনি। কোম্পানির মালিক ছিলেন আরেক বিখ্যাত উদ্ভাবক টমাস আলভা এডিসন। নিকোলা টেসলা এডিসনের ডিসি প্রজেক্টের (সরাসরি বিদ্যুৎ) ওপর কাজ শুরু করেন। খুব দ্রুত নিকোলা টেসলা এডিসনের ডিসি বা ডাইরেক্ট কারেন্ট প্রযুক্তির দুর্বলতা দূর করতে সক্ষম হন। নিকোলা টেসলা তাঁর পরবর্তী বিদ্যুৎ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে চাইছিলেন, তাই তিনি গ্রুপ অব ইনভেস্টরের সাহায্যে তাঁর নিজের গবেষণাগার নির্মাণ করেন। এ ল্যাবে তৈরি হয়েছিল নানানরকম এসি বৈদ্যুতিক মোটর এবং এসি বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ। আগে ডিসি কারেন্ট ব্যবহার হতো যা বেশি দূরত্বে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে নিকোলা টেসলার অল্টারনেটিভ কারেন্ট বা এসি প্রযুক্তির মাধ্যমে তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপত্তিস্থল থেকে বহুদূরে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছিল। যা পুরো বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। টেসলা কয়েল নিকোলা টেসলারই আবিষ্কার ছিল। এ ছাড়াও তিনি অক্সিলেটার নামের একটি যন্ত্র নির্মাণ করেন যা বিদ্যুৎ তৈরি করত এবং যার বিদ্যুৎশক্তি ছিল দুর্দান্ত। নিকোলা টেসলা বেশি খ্যাতি পেয়েছেন বিদ্যুৎ সঞ্চালনব্যবস্থায় এসি (অলটারনেটিং কারেন্ট) উদ্ভাবন করে। টেসলার পেটেন্ট ও তাত্ত্বিক কাজ তারহীন যোগাযোগ ও রেডিও উদ্ভাবনের ভিত তৈরি করে দিয়েছিল। টেসলা প্রথম বেতার নিয়ন্ত্রিত (আরসি) যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। সেটি ছিল একটি আরসি নৌকা। টেসলাই প্রথম ব্যক্তি, যিনি এক্স-রে ছবি তুলেছিলেন।

ব্ল্যাকহোল রহস্য উন্মোচন করেন স্টিফেন হকিং

স্টিফেন হকিং মোটর নিউরন ডিজিজ আক্রান্ত জিনিয়াস। কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কার বা বিগ ব্যাং থিওরি- সবই এসেছে তাঁর মাথা থেকে। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করছেন প্রতিদিন। গ্র্যাভিটেশন, কসমোলজি, কোয়ান্টাম থিয়োরি ও ইনফরমেশন থিয়োরি। ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি অক্সফোর্ডশায়ারে জন্ম হকিংয়ের। বাবা ফ্রাঙ্ক হকিংও ছিলেন বিজ্ঞানী ও গবেষক। মা ইসাবেল হকিং একজন রাজনৈতিক কর্মী। বাবার ইচ্ছা ছিল, ছেলে ডাক্তার হোক। কিন্তু হকিং গণিত নিয়ে পড়তে চান। অক্সফোর্ডে পরে পদার্থবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন। সে সময়ে তাঁর আগ্রহের বিষয় ছিল তাপগতিবিদ্যা, আপেক্ষিকতা ও কোয়ান্টাম থিয়োরি। ক্যামব্রিজে ভর্তি হওয়ার পরই হকিং মোটর নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত হোন। শরীরের প্রায় বেশির ভাগটাই ধীরে ধীরে অসাড় হয়ে পড়ে। শুধু বেঁচে আছে মস্তিষ্ক। তিনি বারবার বলছেন, ভিনগ্রহীদের সভ্যতা আমাদের চেয়ে উন্নত। বিপদ আসতে পারে। তারাও আমাদের খুঁজছে। একটি সাক্ষাৎকারে হকিং জানিয়েছিলেন, একদিন আমরা হয়তো এ রকম কোনো গ্রহ থেকে সিগন্যাল পেতে পারি। তবে ওই সিগন্যালের জবাব দেওয়ার বিষয়টি ভালো করে ভেবে দেখতে হবে। এমনো তো হতে পারে ব্যাকটেরিয়াদেরকে আমরা যে দৃষ্টিতে দেখি এলিয়েনরাও আমাদের সেই দৃষ্টিতেই দেখে। এ পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়েও সাবধান করেছেন। তাঁর কথায়, ‘পৃথিবী থেকে বেঁচে থাকার রসদ কমছে দ্রুত।’ প্রথম জীবনে সতীর্থ রজার পেনরাজের সঙ্গে মিলে সাধারণ আপেক্ষিকতায় সিংগুলারিটি সংক্রান্ত তত্ত্ব আনেন হকিং। তিনি প্রথম অনিশ্চয়তার তত্ত্ব ব্ল্যাক হোলের ঘটনা দিগন্তে প্রয়োগ করে দেখান যে, ব্ল্যাক হোল থেকে বিকিরিত হচ্ছে কণাপ্রবাহ। এই বিকিরণ এখন হকিং বিকিরণ নামে অভিহিত। এ ছাড়া প্রায় ৪০ বছর ধরে হকিং তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের চর্চা করছেন। হকিংয়ের কাজের বেশির ভাগ অংশজুড়েই ছিল আপেক্ষিকতাবাদ, কোয়ান্টাম তত্ত্ব এবং মহাবিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অজস্র ক্ষুদ্র কণা ও তাদের চরিত্র এবং অবশ্যই ব্ল্যাক হোল। ১৯৭৪ সালে ব্ল্যাক হোলের ওপর তাঁর বিখ্যাত থিওরি ‘হকিং রেডিয়েশন’ সামনে আনেন। সেই বছরই মাত্র ৩২ বছর বয়সে রয়্যাল সোসাইটির ফেলো হন তিনি। ১৯৭৯ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের লুকেসিয়ান প্রফেসর হন। এই পদে ছিলেন আইজ্যাক নিউটনও। বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার পেছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় ‘অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’। বইটির শুধু ইংরেজি সংস্করণই ১ কোটি কপি বিক্রি হয়েছিল। ২০০১ সালের মধ্যে ৩৫টি ভাষায় অনূদিত হয়েছিল ‘অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’। ২০০১ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর ‘দ্য ইউনিভার্স ইন অ্যা নাটশেল’।

গ্যালিলিও বললেন, ‘সূর্য নয়, পৃথিবীই বরং সূর্যের চারদিকে ঘোরে’

ইতালির বিখ্যাত সমুদ্রবন্দর পিসায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন গ্যালিলিও। তাঁকে ইতিহাসের সেরা গণিতবিদ, পদার্থবিদ, জ্যোতির্বিদ ও দার্শনিক মানা হয়। আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞানের এই জনককে নিয়ে স্টিফেন হকিংয়ের মন্তব্য- ‘আধুনিক বিজ্ঞানের জন্মদানের জন্য অন্য যে কারও চেয়ে গ্যালিলিওর অবদান বেশি। গ্যালিলিও পূর্ববর্তী বিজ্ঞানী টলেমি দাবি করেছিলেন, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। নিজের উদ্ভাবিত টেলিস্কোপ নিয়ে পরীক্ষা শেষে গ্যালিলিও বললেন- না, সূর্য নয়, পৃথিবীই বরং সূর্যের চারদিকে ঘোরে। ১৬১১ সালের ১৪ এপ্রিল এই প্রতিভাধর বিজ্ঞানী তাঁর নিজের আবিষ্কৃত বিশেষ টেলিস্কোপটি সবার সামনে উন্মুক্ত করেন। গ্যালিলিও প্রমাণ করেন, মহাকাশে যেসব গ্রহ নক্ষত্র রয়েছে তারা পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে না, বরং তাদের নিজস্ব কক্ষপথ রয়েছে। গ্যালিলিও বৃহস্পতি গ্রহের চারটি উপগ্রহ আবিষ্কার করেন এবং লক্ষ্য করেন, সেগুলো বৃহস্পতি গ্রহকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে। তাঁর বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব মেনে নিতে পারেনি সমাজ ও রাষ্ট্র। একই দাবি করেছিলেন কোপার্নিকাসও। এই মতবাদ দেওয়ায় গ্যালিলিও কোপার্নিকাসের মতো চার্চের রোষানলে পড়লেন। শাস্তির মুখোমুখি হয়ে হয় বিখ্যাত এই দার্শনিককে। তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়। বন্দিদশায়ই তাঁর মৃত্যু হয়। মূল্যায়ন দূরে থাক, মৃত্যুর ৪০০ বছর পরও তিনি চার্চের চোখে অপরাধীই ছিলেন। ৪০০ বছর পর সেই গ্যালিলিওকেই সম্মান জানায় ভ্যাটিকান।

এডিসনের হাত ধরে নিউইয়র্কে প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র গড়ে ওঠে

টমাস আলভা এডিসন। পরিবারের সবচেয়ে ছোট এবং সপ্তম সন্তান ছিলেন এডিসন। বাবা স্যামুয়েল ছিলেন কানাডা থেকে নির্বাসিত একজন রাজনৈতিক কর্মী। ১৮৬৬ সালে ১৯ বছর বয়সে বার্তা সংস্থা ‘এপি’ বা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এ টেলিগ্রাফ অপারেটর হিসেবে চাকরি নিয়েছিলেন এডিসন। ১৮৬৯ সালে ২২ বছর বয়সী টমাস এডিসন নিউইয়র্ক শহরে পাড়ি জমান। প্রথম সফল আবিষ্কারটি এখানেই করেন। এটি ছিল একটি স্টক টিকার প্রিন্টার। যেটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘ইউনিভার্সাল স্টক প্রিন্টার’। স্টক টিকার হলো শেয়ার বা স্টক মার্কেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা স্টকের মূল্য ওঠানামা করার সংকেত। টমাসের আবিষ্কারের ফলে কখন কোনটির দাম উঠছে বা নামছে তা খুব সহজে দেখা যেত এবং একই সঙ্গে টমাসের প্রিন্টার অনেকগুলো স্টক একসঙ্গে দেখাতে পারত। ‘গোল্ড অ্যান্ড স্টক টেলিগ্রাফ কোম্পানি’ তাঁর কাজে দারুণ মুগ্ধ হয়ে তাঁকে ৪০ হাজার ডলার দিয়ে যন্ত্রটির স্বত্ব কিনে নেয়। এ সাফল্যের পর ১৮৭০ সালে আমেরিকার নিউজার্সিতে তিনি প্রথম নিজস্ব ল্যাব স্থাপন করেন। প্রথম ল্যাব থেকেই তিনি ‘কোয়ার্ডার প্লেক্স’ টেলিগ্রাফ আবিষ্কার করলেন, যা একটি তারের মধ্য দিয়ে দুটি আলাদা জায়গায় সিগন্যাল পাঠাতে পারত। আবিষ্কার করেছিলেন অডিও রেকর্ডারও। ১৮৭৬ সালে টমাস তাঁর কার্যক্রম নিউজার্সির মেনলো পার্ক নামক জায়গায় স্থানান্তর করেন। যদিও এ ফোনোগ্রাফ সাধারণ মানুষের কাছে আসতে আরও ১০ বছরের মতো লেগেছিল কিন্তু এ যন্ত্রের মাধ্যমেই এডিসন প্রথমবারের মতো সারা বিশ্বে বিখ্যাত হন। তিনি এক সময় শুধু বাল্বের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন। এরপর সমগ্র বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি সাধনে তৎপর হয়েছিলেন। তৈরি করলেন নতুন এক ধরনের ডায়নামো, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার জেনারেটর থেকে শুরু করে ল্যাম্প তৈরি করা প্রভৃতি। এডিসনের হাত ধরেই নিউইয়র্কে প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র গড়ে ওঠে।

তেজস্ক্রিয়তা গবেষণায় অনন্য মেরি কুরি

তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে গবেষণায় পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানীদের শীর্ষমণি হিসেবে সমাদৃত মেরি কুরি। তিনিই একমাত্র নারী যিনি দুবার নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। তাঁর পুরো নাম মেরি স্কলোডসকা কুরি। ডাক নাম মানিয়া। তিনিই পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র নারী যিনি দুবার দুটি বিষয়ে (পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন) নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। মেরি স্কলোডসকা কুরি ১৮৬৭ সালের ৭ নভেম্বর পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিক্ষাজীবনের ঘটনাগুলো ছিল খুবই দুর্বিষহ। তবে অনেক কষ্টেসৃষ্টে পরে ডাক্তার হওয়ার আশায় মেরি ভর্তি হয়েছিলেন প্যারিসের সোরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষকরা তাঁর কল্পনাশক্তি, উদ্যম ও মেধা দেখে তাঁকে উৎসাহিত করতেন নতুন নতুন গবেষণায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এরপর মেরি পেয়ারে কুরির সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করেন। ১৮৯৮ সালেই তাঁরা প্রথম পিচব্লেন্ড থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ পলোনিয়াম এবং পরে রেডিয়াম আবিষ্কার করেন যা ইউরেনিয়াম থেকে ১০ লাখ গুণ বেশি শক্তিশালী। ১৯০৩ সালে মেরি কুরি এবং পেয়ারে কুরি যৌথভাবে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯১০ সালে মেরি কুরি রেডিয়াম ক্লোরাইডকে তড়িৎ বিশ্লেষণ করে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ রেডিয়াম নিষ্কাশন করেন। এ অসাধারণ উদ্ভাবনের জন্য ১৯১১ সালে মেরিকে রসায়নে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
আবিষ্কার প্রযুক্তি বিজ্ঞান বিজ্ঞানীর সেরা
Related Posts
শিলা

মঙ্গলগ্রহে ৮০ সেমি অচেনা শিলা খুঁজে পেল নাসার রোভার

November 20, 2025
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার

ইউটিউবে দ্রুত সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর উপায়

November 20, 2025
Top-10-Smartphones

বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রি হওয়া ১০ স্মার্টফোন

November 20, 2025
Latest News
শিলা

মঙ্গলগ্রহে ৮০ সেমি অচেনা শিলা খুঁজে পেল নাসার রোভার

ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার

ইউটিউবে দ্রুত সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর উপায়

Top-10-Smartphones

বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রি হওয়া ১০ স্মার্টফোন

Maximus

Maximus ‍Smartphone : সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ৫টি জনপ্রিয় মডেল

বাইক

বাইকে ইনস্টল করুন ছোট এই যন্ত্র, ১৫০ কিমি যেতে খরচ হবে মাত্র ৫ টাকা

ai

এআই যে পেশা ছাড়া প্রায় সব দখল করে নেবে

Motorola Smartphone

Motorola স্মার্টফোনের ইতিহাসের সেরা ৫টি মডেল, পাবেন দুর্দান্ত সব ফিচার

ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিংয়ে কি করবেন, কি করবেন না

Motorcycle

Motorcycle-এর জ্বালানি সাশ্রয়ের কৌশল

nord-ce4-lite-01

২০ হাজার টাকার নিচে সেরা ৫টি স্মার্টফোন, OnePlus থেকে Realme

  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.