আমরা ফেসবুকে এবং ইনস্টাগ্রামে ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ দেখতে পছন্দ করি। আমরা অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নিয়ে এসব ভিডিও দেখি। অনেকের কাছে বিষয়টি নেশার মত হয়ে যায়। এতে করে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
আমাদের অনেকের মধ্যে সেলফোন অ্যাডিকশন ডিসঅর্ডার থাকতে পারে। কোন কারণ ছাড়াও আমরা দীর্ঘ সময় ধরে স্মার্টফোনের উপর নির্ভর করে থাকি। এই নেশা থেকে আমরা সহজে বের হতে পারি না। এটিকে সেলফোন অ্যাডিকশন ডিসঅর্ডার বলে।
আপনার মধ্যে সেলফোন অ্যাডিকশনের লক্ষণ আছে কিনা বোঝার জন্য কয়েকটি ফ্যাক্টর হয়েছে। আপনার মোবাইলে কারো মেসেজ আসলে তা দ্রুত রিপ্লাই দেয়ার জন্য অস্থির হয়ে যান।
তাছাড়া মোবাইল অথবা পিসি অথবা যেকোন ডিভাইসের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে সামাজিক এবং পারিবারিক সম্পর্ক ভালো হয় না। আপনি ডিভাইসের উপর নির্ভরতা কমিয়ে দিবেন বললেও তা পেরে উঠতে পারছেন না।
আমরা অনেক সময় ১০ মিনিটের কাজ করতে গিয়ে লম্বা সময় স্মার্টফোনে কাটিয়ে দেই। দরকার না হলেও এটি ব্যবহার করতে থাকি। কিছুক্ষণের জন্য স্মার্টফোন আপনার পাশে না থাকলে অথবা অনলাইন জগতে প্রবেশ করতে না পারলে নিজের মধ্যে অস্থিরতা অনুভব হয়।
আমরা ঘুমাতে গেলেও হাতে মোবাইল ফোন থাকে। রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আপনার দৈনন্দিন জীবনের পড়াশোনা এবং কাজে সমস্যা তৈরি করে এ ডিসঅর্ডার।
সেলফোন অ্যাডিকশন ডিসঅর্ডারের কিছু সমাধান উল্লেখ করা যেতে পারে।
- গাড়ি ড্রাইভ করার সময় অথবা যখন বাজারে থাকবেন সে সময় কারণ ব্যতীত মোবাইল হাতে নেবেন না।
- রাতে ঘুমানোর সময় স্মার্টফোনের পাশাপাশি নেট কানেকশন বন্ধ করে দেওয়া উত্তম হবে।
- স্মার্টফোনের যে সকল অ্যাপ্লিকেশন আপনার মনোযোগ এ ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে তা এড়িয়ে চলুন।
- যখন বন্ধু ও পরিবারের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করবেন তখন স্মার্টফোনের ব্যবহার কমিয়ে দিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।