নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের প্রধান তিন সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও বিনোদন দিতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজার, কুয়াকাটা ও পহেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে এই প্রথম ইমার্জেন্সি সিস্টেম চালু করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে ‘হেল্প মি’ বাটন। কোনও পর্যটক নিরাপত্তাহীনতা বোধ করলে কিংবা বিপদে পড়লে এই ইমারজেন্সি বাটনে চাপ দিলেই মুহূর্তের মধ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ হাজির হবে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক জুমবাংলাকে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘হেল্প মি’ বাটনে চাপ দিলে ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্সে আওয়াজ তৈরি হবে। সেটি দেখে মুহূর্তের মধ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ ওই বাটন এলাকায় হাজির হবে এবং পর্যটকের সমস্যা সমাধান করবে।
আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়াটাকে আমরা এই মুহূর্তে প্রাধান্য দিচ্ছি। আমরা পর্যায়ক্রমে সব ট্যুরিস্ট স্পটকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসব। ছিনতাই ও পর্যটক হয়রানি প্রতিরোধে অপরাধীদের ফেস ডিটেকট করার জন্য ট্যুরিস্ট স্পটে এআই প্রযুক্তির সিস্টেম খুব শিগগিরই চালু করা হবে। এআই প্রযুক্তি চালু হলে অপরাধীকে খুব সহজেই শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যাবে।
তিনি জানান, পর্যটকদের সুবিধার্থে চালু করা হয়েছে দুটি হট লাইন নম্বর। নম্বর দুটি হলো, ০১৩২০-২২২২২২ এবং ০১৮৮৭-৮৭৮৭৮৭। ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রত্যাশীরা এই নম্বর দুটিতে কল করে সেবা নিতে পারছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে কক্সবাজারে এক বিচ এলাকা থেকে আরেক বিচ এলাকায় যোগাযোগের জন্য ইন্টারকম সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর ফলে পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টার কমের মাধ্যমে টুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে পারবেন। তিন সমুদ্র সৈকতে স্থাপন করা হয়েছে ৪৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা, যা কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা থেকে মনিটরিং করা হবে। সিসি ক্যামেরার মধ্যে কক্সবাজারের সুগন্ধা, কলাতলী, লাবনী পয়েন্টে ও বিচের আশপাশ মিলে ২০টি, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিচের এক কিলোমিটারের মধ্যে ১২টি এবং কুয়াকাটায় ১২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সম্প্রতি ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে কক্সাবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ঘোড়ার গাড়ি ও ময়ূরপঙ্খী বিচ বাইকের মাধ্যমে পর্যটকদের নিরাপত্তায় টহল ডিউটি প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আবু কালাম সিদ্দিক আরও জানান, প্রতিটি বিচে দেওয়া হচ্ছে ফ্রি মোবাইল ফোন সিস্টেম। যেখান থেকে পর্যটকরা সরাসরি ট্যুরিস্ট পুলিশ তথ্য সেন্টারে হোয়াটসঅ্যাপ ও কল করতে পারবেন। এছাড়াও মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে দেড় হাজারেরও বেশি ট্যুরিস্ট স্পট আছে। এর মধ্যে ১০৪টি ট্যুরিস্ট স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করছে। ট্যুরিস্ট পুলিশে জনবল বাড়লে সেবার পরিধি আরও বাড়ানো সম্ভব হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।