অর্থনীতি ডেস্ক : বিমান বাংলাদেশের বহরে যুক্ত হতে যাওয়া দুটি উড়োজাহাজ আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে যাচ্ছে ৪৫ জনের বিশাল বহর। এ বহরে বিমান প্রতিমন্ত্রী না থাকলেও অতিথি হিসেবে আছেন তার পিএস ও জনসংযোগ কর্মকর্তাসহ অতিরিক্ত ৯ জন। যাদের সফরের পুরো খরচ বহন করবে মন্ত্রণালয়। বিশেষজ্ঞরা একে আনন্দ ভ্রমণের সাথে তুলনা করেছেন। তবে বিমানের এমডির দাবি, অপ্রয়োজনীয় কাউকে নেয়া হচ্ছে না।
সোনারতরী ও অচিনপাখি। বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে এ দুটি উড়োজাহাজ। মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের ৭৮৭-৯ মডেলের উড়োজাহাজ দুটি আনতে আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে যাচ্ছেন ৪৫ জনের একটি দল। বিশাল এ বহরে বিমান মন্ত্রণালয়ের বাইরে অতিথি হিসেবে যাচ্ছেন ৯জন। যাদের মধ্যে আছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দুজন অতিরিক্ত সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন পরিচালক, আইনমন্ত্রণালয়ের উপসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক। তবে এ বিশাল বহরে বিমান প্রতিমন্ত্রী না গেলেও যাচ্ছেন তার পিএস ও পিআরও। যার খরচ বহন করছে মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে প্রয়োজনের বেশি মানুষের আমেরিকা যাত্রা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমানের সাবেক পরিচালক নাফীজ ইমতিয়াউদ্দিন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে স্পিরিটে বিমানকে একটুকু ক্যাপাসিটি এনে দিচ্ছেন এটা সেই স্পিরিটের সাথে সামঞ্জস্য না। বলা হচ্ছে যে গেস্ট, গেস্ট দাওয়াত করলে আপনি আপনার বাড়িতে যে কাউকে দাওয়াত করতে পারেন, আমাদের কোন প্রশ্ন নেই। কিস্তু এটার খরচতো ওনারা বহন করছেন না করছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।’
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘যেখানে বিমান বছরের পর বছর আর্থিকভাবে লসের সম্মুখীন হচ্ছে, এবং বিমান ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে সেই সময় বিমানের এয়ারক্রাফট ডেলিভারি নিতে যদি এতগেুলো লোক যায় সেটা আমি মনে করি একটা রাষ্ট্রীয় অপচয়। এবং এটার থেকে বিরত থাকাই শ্রেয় হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।