জুমবাংলা ডেস্ক: সোহেল-রওশন দম্পতির নজিরবিহীন ভালোবাসার গল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজর কেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাদের অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তাদের বাড়িতে যান ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তারুজ্জামান। সোহেল-রওশন দম্পতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও মেয়ে স্মরণিকে চকলেট উপহার দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তারুজ্জামান।
পরে পরিবারটির নানা সমস্যা ও কষ্টের কথা শোনেন এবং সেগুলো দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জানিয়ে সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পর আমি নিজেও ওই দম্পতির সাথে কথা বলেছি। সরজমিন তাদের খোঁজখবর জানতে ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘ভালোবাসার যে নিদর্শন তৈরি করেছেন সোহেল-রওশন দম্পতি, তা অতি বিরল।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে খোঁজ খবর নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সোহেল-রওশন দম্পতি।
অন্য আর দশটা মেয়ের মতো সুস্থ স্বাভাবিক নন ময়মনসিংহের ত্রিশালের রওশন আক্তার। তবে ভালোবাসার প্রমাণ দিয়েছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সোহেল মিয়া। ভবিষ্যতে নানা সমস্যা আসবে জেনেও সকলের অমতে ১৪ বছর আগে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। জন্ম থেকেই দুই পা অচল রওশনের। পায়ে ভর দিয়ে নেই চলার শক্তিটুকুও। গত ১৪ বছর থেকে স্বামীর পিঠে চড়ে চলাচল করেন এখানে-সেখানে। হয়েছেন সন্তানের মা। সম্প্রতি তাদের ভালোবাসার গল্প গণমাধ্যম ও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
ত্রিশালের গুজিয়াম টানপাড়া গ্রামে ছোট্ট মাটির ঘর আর একটি টং দোকানই সম্বল এ দম্পতির। শত কষ্টের মাঝেও ভালোবাসা আর পরস্পর আস্থা-বিশ্বাসই যেন তাদের কাছে সুখের পালক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।