আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের এক রেল কম্পানি নিয়োগ দেবে ৩০ জন নারী চালক। কিন্তু তার বিপরীতে আবেদনপত্র জমা পড়েছে ২৮ হাজার। সফল প্রার্থীরা এক বছরের প্রশিক্ষণ শেষে দেশটির পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনার মধ্যে উচ্চ-গতির ট্রেন চালানোর সুযোগ পাবেন। এবারই প্রথম সৌদি আরবে এরকম কোনো পদে নারী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
জনশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের দিক থেকে বরাবরই পিছিয়ে রয়েছে দেশটি। সাম্প্রতিককালে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বরাবরের তেল-নির্ভর সৌদি অর্থনীতিকে বহুমুখী করতে চাইছেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। এসব প্রক্রিয়া তারই অংশ।
রক্ষণশীল সৌদি আরবে মাত্র কয়েক বছর আগে নারীদের গাড়ি চালানার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া অভিভাবকত্ব আইন শিথিল করে নারীদের আগের তুলনায় মুক্তভাবে চলাচলের সুযোগ দেওয়ার মতো নানাবিধ সামাজিক পরিবর্তন আসছে দেশটিতে।
এ ধরনের পরিবর্তনের কারণে গত পাঁচ বছরেই দেশটির জনশক্তিতে নারী অংশগ্রহণ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৩৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এমনকি গত বছরের প্রথমার্ধে জনশক্তিতে পুরুষের তুলনায় নারীরাই বেশি যোগ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্র“কিংস ইন্সটিটিউটের গত বছরের প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, এখনও সৌদি আরবের বেশিরভাগ চাকরিই পুরুষদের দখলে, বিশেষ করে সরকারি খাতে।
বড় মাপের কিছু সামাজিক পরিবর্তন এলেও সৌদি নারীদের এখনো বিয়ে করতে ও সুনির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্যসেবা পেতে পুরুষ অভিভাবকের ওপর নির্ভর করতে হয়। দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, নারীরা এখনো বিয়ে, পরিবার, তালাক ও সন্তান সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।