জুমবাংলা ডেস্ক : ধান, গম আর আলু আবাদ করে লোকসান হলেও সৌদি আরবের খেজুর চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন জয়পুরহাটের এক কৃষি উদ্যোক্তা। বাণিজ্যিক খেজুর চাষে সবার নজর করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত এই উদ্যোগ উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের জন্য অনুপ্রাণিত বলে মনে করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
গাছে গাছে ঝুলছে কাঁচা পাকা সৌদি আরবের খেজুর। মরিয়ম, আজোয়াসহ প্রায় ১০ জাতের সৌদি খেজুর চাষ করেছেন তিনি। নয়নাভিরাম এই দৃশ্য জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মুনজিয়া গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলামের বাগানে। ইউটিউব দেখে তিন বছর আগে প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে ৪৫০টি সৌদি আরবের খেজুর গাছের চারা লাগান তিনি, এবং লাভ ভালো হবে আশা সাইফুলের।
উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ইউটিউব দেখে সৌদি খেজুর চাষে আগ্রহ বাড়ে। সেখান থেকেই তার শুরু হয় সৌদি খেজুর গাছের চারা সংগ্রহ। এরপর তার নিজের ৭০ শতক জমিতে ৪০০টি সৌদি খেজুর গাছের চারা রোপণ করেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৩ লাখ টাকা। এ বছর প্রথম অল্প কিছু খেজুর ধরেছে। এছাড়া তার বাগানে শুধু ফল উৎপাদন নয় আধুনিক পদ্ধতিতে সৌদি খেজুরের ১০টি জাতের প্রায় ১০ হাজার চারাও তৈরি করেছেন। প্রতিটি চারা প্রকার ভেদে ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা করে বিক্রি করছেন।
একই গ্রামের কৃষক বেলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে সৌদি খেজুর চাষ হতে পারে তার কল্পনাতেই আসেনি। এখন সাইফুলের বাগানে সৌদি খেজুর গাছে ফল দেখে ধারণাই বদলে গেছে। চিন্তা ভাবনায় নিয়েছেন আগামীতে তিনিও সৌদি খেজুর চাষ শুরু করবেন।
রায়কালী গ্রামের তরুণ মাসুদ রানা বলেন, সাইফুল ইসলামের সৌদি খেজুর বাগান দেখে মনে হচ্ছে। লেখাপড়া শিখে চাকরির পিছনে না ঘুরে নিজেও উদ্যোক্তা হতে চান।
আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইমরান হোসেন বলেন, কৃষকদের সৌদি খেজুর বাগান তৈরি ও কৃষিতে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে দিচ্ছেন নানা পরামর্শ। তিনি আরও বলেন, জেলায় প্রথম সৌদি আরবের খেজুর চাষের সফলতা বদলে দিবে এই এলাকার কৃষির চিত্র।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।