জুমবাংলা ডেস্ক: পবিত্র হজ শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে হাজিদের অভ্যর্থনা জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
রোববার (২ জুলাই) ৩৩৫ জন হাজি নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের প্রথম একটি ফ্লাইট।
বিমান থেকে নামার পরপরেই জমজম কূপের পানি সংগ্রহ করতে প্রত্যেক হাজিকে একটি টোকেন দেওয়া হয়েছে। হাজিদের সুবিধার্থে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল গেটের সামনেই মজুদ রাখা হয় জমজম এর পানি। পানি বিতরণের জন্য রয়েছেন এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতিনিধিরা।
বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, বিমানবন্দরে আগে থেকে হাজিদের জন্য নিরাপত্তাসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দেশে ফেরা হাজিদের মাঝে জমজমের পানি বিতারণ করবেন বিমানসহ সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরা। আশা করি এতে হাজিদের সুবিধা হবে। কোনো কষ্ট হবে না।
বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক উইং কমান্ডার মিরান হোসেন বলেন, হাজিদের সুবিধার জন্য সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফ্লাইট থেকে নামার পর লাগেজ নিয়ে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় জমজম এর পানি সংগ্রহ করতে পারবেন দেশে ফেরা হাজিরা।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকার বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪১৯ জন হাজি নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফিরতি ফ্লাইট অবতরণ করবে আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে হজযাত্রীরা সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৮ হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন।
এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ৩২১ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৯ হাজার ১৪৭ জন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার জন্য সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়। সে লক্ষ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয়। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরের হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ দফা সময় বাড়িয়েও কাঙ্ক্ষিত কোটা পূরণ করা যায়নি। সরকারি ও বেসরকারি দুই ক্যাটাগরিতে মোট নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৪৮৬ জন।
এর মধ্যে হজযাত্রীদের সঙ্গে গাইড হিসেবে গেছেন দুই হাজার ৭১৫ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইড থাকবেন ২২৮ ও বেসরকারিভাবে থাকবেন দুই হাজার ৪৮৭ জন। হজযাত্রী ও গাইডসহ মোট যাত্রী এক লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন। ওই হিসাবে চার হাজার ৯৯৭টি কোটা ফাঁকা রয়েছে। এ ফাঁকা কোটা সৌদি সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।