শনি। বৃহস্পতির সঙ্গে তার খুব মিল। বৃহস্পতির মতো এটাও এক বিরাট মেঘের গোলা—এই মেঘের গোলার গভীরে আছে শক্ত শাঁস। শনিকে ঘিরে আছে একটা বেড় (রিং বা বলয় নামে পরিচিত)। এই জন্যে তাকে দেখতে বেশ জমকালো। তাই বলে কিন্তু ভেবে বসো না যে শনির বেড়টা টুপির মতো শক্ত। মোটেই তা নয়। এই গ্রহের চারপাশে খুদে যেসব টুকরো-টাকরা (পাথর ও গ্রহাণু) ছুটে চলেছে এটা তা দিয়ে তৈরি।
সৌরপরিবারে শনিই সম্ভবত সবচেয়ে সুন্দর গ্রহ। শনিরও উপগ্রহ আছে। শনির উপগ্রহগুলোর মধ্যে একটা হলো ‘টাইটান’। তার আয়তন বুধের সমান। তাকে জড়িয়ে আছে যে বায়ুমণ্ডল, তার গঠনপ্রকৃতি পার্থিব বায়ুমণ্ডলের গঠনপ্রকৃতির কাছাকাছি। কে বলতে পারে, হয়তো সেখানে জীবন আছে?
বাকি গ্রহগুলো তেমন আকর্ষণীয় নয়। ইউরেনাস ও নেপচুন বৃহস্পতির মতো। আর প্লুটো ঠান্ডায় জমাট বাধা গ্রহ, ধু-ধু করছে। সূর্য থেকে ভীষণ দূরে। এত দূরে যে সুর্যের চারধারে একপাক ঘুরতে লেগে যায় ২৫০ বছর। সূর্যকে ওখান থেকে দেখায় শুধু একটা ছোট্ট জ্বলজ্বলে তারার মতন—বলাই বাহুল্য, এক ফোঁটাও তাপ দেয় না।
আমাদের সৌরজগতে প্লুটো হলো শেষ গ্রহ* (২০০৬ সালের পর থেকে প্লুটো বামন গ্রহ)। প্লুটোর পরে শুরু হয়েছে ফাঁকা জায়গা, চলে গেছে সেই তারারা যেখানে আছে সেখান পর্যন্ত।
কিন্তু প্রত্যেকটি তারাই একটা সূর্য। আর দূরের এই সূর্যদের অনেকেরই নিজস্ব গ্রহ থাকতে পারে। সেই সব গ্রহের কোনটি হয়তো আমাদের পৃথিবীর মতো। সেখানে হয়তো লোকজন বাস করে। তারাও হয়তো আমাদেরই মতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।