জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁর মহাদেবপুরে মোবাইল চুরির অভিযোগে অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রের হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অমানবিক ওই নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে উপজেলার বাগাচারা এলাকায় নির্মাণাধীন একটি এলপি গ্যাস ফিলিং স্টেশনে।
এ ঘটনায় নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জলের ছেলে বকুলকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে ১৪ বছর বয়সী ওই শিশুকে ধরে এনে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পেটায় এলপি গ্যাস স্টেশনের নৈশ প্রহরী বকুল। এরপর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ঘরে আটক করে রাখা হয় শিশুটিকে। একপর্যায়ে শিশুটির মা-বাবা ও এলাকাবাসী জানতে পেরে দুপুরের দিকে শিশুটিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। এ সময় নির্যাতনকারী নৈশ প্রহরী বকুল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের ও উত্তেজনা দেখা দিলে খবর পেয়ে নওহাটা মোড় ফাঁড়ির পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত করে ও অভিযান চালিয়ে শিশু নির্যাতনকারী বকুলকে আটক করে মহাদেবপুর থানা হেফাজতে নেয়। বর্তমানে নির্যাতনের শিকার শিশুটি তার পরিবারের জিম্মায় রয়েছে।
নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবা খোরশেদ আলম অভিযোগ করে বলেন, সকালে আমার ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে ফিলিং স্টেশন এলাকার অন্যান্য বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করতে যায়। সেখানে দায়িত্বে থাকা নাইট গার্ড বকুল হঠাৎ তাকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে ধরে ফিলিং স্টেশনের ভেতরে একটি টিনের ঘরে নিয়ে যায়। এরপর হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি ও লোহার দিয়ে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে। শুধু পিটিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই ঘরে আমার শিশু ছেলেকে বেঁধে রেখে দেয়। মিথ্যা অভিযোগে পেটানোয় নির্যাতনকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেবেন বলেও জানান শিশুটির বাবা খোরশেদ আলম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, শিশু নির্যাতনের খবর পাওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেয়াসহ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে মহাদেবপুর থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।