বিনোদন ডেস্ক: সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও তার চলচ্চিত্র জীবনের মতোই বর্ণিল। স্কুলজীবন থেকেই বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই খ্যাতিমান অভিনেতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দলটির সঙ্গেই ছিলেন।
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন সহযোদ্ধা হিসেবে ছয় দফা আন্দোলনে যোগ দেন ফারুক। সে সময়ে তার নামে প্রায় ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়। অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেমে হাজতও খেটেছেন একাধিক বার। কিন্তু কখনো দমে যাননি।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের পর তাঁর ডাকেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নায়ক ফারুক। সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন অস্ত্র হাতে। ছিনিয়ে আনেন দেশের স্বাধীনতা।
অভিনয় দিয়ে খ্যাতির চূড়ায় উঠলেও নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন এই অভিনেতা।
দেশ স্বাধীনের বছরই চলচ্চিত্র জগতে পথচলা শুরু করেন নায়ক ফারুক। তুমুল ব্যস্ততা ছিল সিনেমা নিয়ে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ছাড়েননি কখনো। মৃত্যু পর্যন্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রতাপশালী রাজনীতিবিদ।
দেশের সর্ববৃহৎ এই দলটির হয়েই ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নায়ক ফারুক। সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন। তবে তার মৃত্যুর মধ্যদিয়ে ঢাকা-১৭ আসন আপাতত শূন্য হয়ে গেল।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য ফারুক। তিনি বিরল নিউরোলজিক্যাল রোগ জিবিএস (Guillain Barre Syndrome)-এ ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সকালে অভিনেতার মরদেহ দেশে আনা হবে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শূন্য হয়েছিল: ফারুকের চিকিৎসায় বিক্রি করতে হয়েছিল ১৫ কোটি টাকার ফ্ল্যাট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।