জুমবাংলা ডেস্ক : এক নিখোঁজ স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারে নেমে নারী পাচার চক্রের সদস্য ও দালালের সন্ধান পেল র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। টাঙ্গাইলের এক স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে চট্টগ্রাম এনে ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর কথা বলে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করতে আটকে রেখে রেখে পরে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং উদ্ধার করা হয়েছে ভুক্তভোগী সেই স্কুল ছাত্রীকে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম, এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, অপহৃত ভিকটিম ১৩ বছর বয়সের এবং টাংগাইল জেলার ঘাটাইল থানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। তার প্রতিবেশী সাদিয়া আক্তার রুনার সাথে তাদের ভাল সর্ম্পক ছিল।
তিনি আরো জানান, চলতি বছরের গত ৩১ জুলাই দালাল চক্রের সদস্য রুনা ভিকটিম ওই ছাত্রীকে ফোন করে জানায় চট্টগ্রামে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, আরো ২ জন মেয়ে পড়াশোনা করে ,এখানে আসলে ভাল পড়াশোনা করতে পারবে। পরদিন ১ আগস্ট সকালে ভিকটিম সেই ছাত্রী রহস্যজনক ভাবে কাউকে কিছু না বলে প্রতারক রুনার সাথে যোগাযোগ করে বাড়ী হতে বের হয়ে ঘাটাইল হতে চট্টগ্রামের হালিশহর চলে আসে এবং রুনার কথামতো মোঃ ফরিদ (২৮) এর সাথে সিএনজি করে হালিশহর থানাধীন একটি টিনসেড ভাড়াঘরে আসে।
এর পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী সেই ঘরে অন্য কোনো মেয়ে মানুষ দেখতে না পেয়ে জিজ্ঞাসা করলে ফরিদ বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা ও এলোমেলো কথাবার্তা বলতে থাকে। পরবর্তীতে রুনা ভিকটিমকে জানায় মোঃ ফরিদ তার স্বামী। তাদের কথা বার্তা সন্দেহ লাগলে ভিকটিম বাড়ি ফিরে যেতে চাইলে রুনা নিষেধ করে এবং তার টাকা পয়সা এবং অলংকারাদি জোর করে নিয়ে নেয়।
তারপর ৩ আগস্ট রাত ১টা র দিকে গ্রেপ্তারকৃত চক্রের দালাল ফরিদ ভিকটিমকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ভিকটিম বটি দিয়ে ধাওয়া করে নিজেকে রক্ষা করে।
এদিকে ভিকটিমের বাবা মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানায় একটি সাধারন ডাইরী দায়ের করেন এবং এই বিষয়ে তার মেয়েকে উদ্ধার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর আবেদন করেন।
অপরাধী গ্রেপ্তারে নজরদারির ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি টিম ৬ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানাধীন আগ্রাবাদ ছোটপুল এলাকার একটি টিনশেড ভাড়াঘরে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং অপহরণের সাথে জড়িত আসামি সাদিয়া আক্তার রুনা (১৯)কে এবং ফরিদকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর অধিনায়ক আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোঃ ফরিদ এর সাথে আসামী রুনার অবৈধ সম্পর্ক ছিল এবং তারা স্বামী – স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া করে থাকত। তারা মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। বিভিন্ন ভাবে সহজ সরল অভাবগ্রস্থ নারী ও শিশুদের কাজ দেওয়ার নাম করে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে , অর্থ উর্পাজনের জন্য পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করত।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য হালিশহর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।