বিনোদন ডেস্ক : সৌরভ দাস ওরফে ‘মণ্টু পাইলট’। পর্দার বাইরেও তিনি দুরন্ত। এবং সেটাই স্বাভাবিক। তা বলে এতটাই যে সে কথা মনে করলে মা অজন্তা দাসের এখনও ‘সুগার লেভেল’ কমে যাবে! এটাই ঘোর বাস্তব। অভিনেতার মায়ের আফসোস, সুগার, প্রেশার, কোলেস্টেরল— সব তাঁর শরীরে জাঁকিয়ে বসেছে ছেলের কল্যাণে।
অজন্তার এক ছেলে, এক মেয়ে। মেয়ে বরাবর শান্ত, লেখাপড়ায় তুখোড়। আর ছেলে অর্থাৎ সৌরভ? সে কথা বলতে গিয়েই তাঁর হৃদস্পন্দন বেড়ে দ্বিগুণ। মায়ের কথায়, ‘‘সৌরভ পড়তে ভালবাসত না। ফলে, যত ক্ষণ হাতে বই তত ক্ষণ সে দিকে চোখ দিয়ে বসে থাকতে হত। তার মধ্যেই ফাঁক পেলে অনবরত খেলা।’’
এ ভাবে ক্রমে অভিনেতা নবম শ্রেণিতে। তখনই অঘটন। শহরের প্রথম সারির স্কুলের অধ্যক্ষ সরাসরি ডেকে পাঠালেন তাঁর বাবাকে। অভিযোগ, দুষ্টু বুদ্ধি জুগিয়ে বাকি ছাত্রদের নাকি ‘নষ্ট’ করে দিচ্ছেন সৌরভ! স্কুল আর এই ছাত্রকে রাখতে রাজি নয়। অজন্তার বক্তব্য, ‘‘রেলের ডাকসাইটে অফিসার সে দিন ছেলের জন্য অধ্যক্ষের পা ধরতে বাধ্য হয়েছিলেন! স্কুল মুখ ফিরিয়ে নিলে তো ছেলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’’
সে সব দিন অতীত। ভাল অভিনেতা হিসেবে সৌরভের নামডাকও যথেষ্ট। স্কুলেরও তাই এখন সুর বদলেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, সে দিনের ‘বিচ্ছু’ এখন স্কুলের গর্ব! তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথাও তাই ভাবা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।