স্টারশট প্রজেক্টে কাজ করা বিজ্ঞানীরা এমন একটি মহাকাশযান তৈরি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন যা আলোর এক-পঞ্চমাংশ গতিতে ভ্রমণ করতে পারে এবং মাত্র ২০ বছরের মধ্যে আলফা সেন্টোরিতে পৌঁছাতে পারে। এটি একটি সুসংবাদ কারণ এর অর্থ হল লোকেরা তাদের জীবদ্দশায় অন্য সোলার সিস্টেমে ভ্রমণ করতে পারে। বর্তমান ইঞ্জিন এবং আমাদের সৌরজগতের গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সাহায্যে অন্য সোলার সিস্টেমে ভ্রমণ করতে হাজার হাজার বছর সময় লাগবে।
Starshot প্রজেক্টের লক্ষ্য হল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি স্টার এক্সপ্লোর করা সম্ভব করে তোলা। এটি করার জন্য, স্টারশট অবশ্যই আলোর স্পিডের কাছাকাছি গতিতে তারার সিস্টেমে ভ্রমণ করতে সক্ষম হবে। বর্তমান প্রযুক্তি, যেমন আয়ন ইঞ্জিন বা থিওরি “ওয়ার্প ড্রাইভ” যথেষ্ট দ্রুতগতির নয়।
স্টারশটের পিছনের ধারণাটি হল গ্রাউন্ড স্টেশনে লেজারের অ্যারে ব্যবহার করা যা মাত্র কয়েক মাইক্রন পুরু। আলোর গতির এক পঞ্চমাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলে এই স্পেসশিপটি প্রায় ২০ বছরের মধ্যে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।
তবে স্টারশট প্রকল্পটি ভালোভাবে এগিয়ে চলেছে। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা বৈজ্ঞানিক জার্নাল ন্যানো লেটারসে দুটি গবেষণা পত্র পাবলিশ করেছেন । এ দুটি গবেষণাপত্র আলাদা দুটি মৌলিক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম।
প্রথম গবেষণাটি বর্ণনা করে যে, সৌর পালকের আকার কী-রকম হতে পারে। স্টারশট এর প্রজেক্টে ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার দেখা যাবে। লেজার রশ্মির উচ্চতাপ জাহাজের গতি বৃদ্ধি করবে। এভাবে আপেক্ষিক গতিতে ভ্রমণ করা সম্ভব হবে।
এসব আবিষ্কার আন্ত:নক্ষত্রিক ভ্রমণকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমাদের জ্ঞান প্রসারিত করতে এবং নতুন বিশ্ব অন্বেষণ করার ক্ষেত্রে এ পদক্ষেপ কাজে লাগবে। তবে ইন্টারস্টেলার ভ্রমণ সম্ভব করার পূর্বে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।