স্ট্যামিনা বলতে বোঝায় দীর্ঘ সময় ধরে চাপযুক্ত কাজ করার শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা। এটি আমাদের শরীরকে যেকোনো কাজ করার জন্য তৈরি রাখে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্ট্যামিনা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর একটি কারণ হলো পেশীর ভর হ্রাস, যা শক্তি, তৎপরতা এবং কর্মক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে। যদিও বার্ধক্য একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া এবং এটি বন্ধ করার কোনো উপায় নেই, তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটিকে ধীর করা এবং স্ট্যামিনা বজায় রাখা সম্ভব। ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন হলো নিজেকে উদ্যমী এবং সক্রিয় রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এছাড়াও কিছু খাবার স্ট্যামিনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্ট্যামিনা বাড়াতে কোন খাবারগুলো খাবেন-
ওটস
ওটস একটি সুস্বাদু খাবার। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ, জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং বি ভিটামিনে ভরপুর। এসব উপাদান শক্তি এবং দৈনন্দিন কর্মক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। ওটস প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন-মুক্ত, যে কারণে গ্লুটেন ইনটলারেন্স বা সিলিয়াক রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা ওটস খেতে পারবেন।
কলা
দিনে একটি কলা খেলে তা ডাক্তারকে দূরে রাখতে পারে। এই মিষ্টি ফল খেলে ভিটামিন বি৬, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন সি সহ আপনার অনেক পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে। এটি শক্তি বাড়ায়, চর্বি এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ইউএস হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথের মতে, একটি মাঝারি পাকা কলায় প্রায় ১১০ ক্যালোরি, ০ গ্রাম ফ্যাট, ১ গ্রাম প্রোটিন, ২৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১৫ গ্রাম চিনি, ৩ গ্রাম ফাইবার এবং ৪৫০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে।
কাজুবাদাম
কাজুবাদাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা কেবল হৃদপিণ্ডের জন্যই ভালো নয়, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এছাড়াও এটি প্রোটিন, আয়রন, পটাসিয়াম এবং বি ভিটামিনের একটি ভালো উৎস, যা শক্তি উৎপাদনে এবং স্ট্যামিনা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিম
ডিম হলো আয়রন, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, কোবালামিন এবং ভিটামিন এ, ডি এবং বি৬ সহ প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের একটি বড় উৎস। এই পুষ্টি কার্বোহাইড্রেটকে জ্বালানী বা গ্লুকোজে রূপান্তর করতে সাহায্য করে, যা শক্তি উৎপাদন করতে ব্যবহৃত হয়। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ডিমের ব্যবহার পরিমিতভাবে করা উচিত, বিশেষ করে উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য।
দই
দইয়ের স্বাদ টক হতে পারে, তবে এটি ল্যাকটোজ এবং গ্যালাকটোজের মতো সাধারণ চিনি দিয়ে তৈরি, যা ভেঙে গেলে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে। এটি একটি স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের উৎস যা ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ। ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও দুর্দান্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।