জুমবাংলা ডেস্ক : বাগেরহাটে অপপ্রচার, হয়রানি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই নারীর স্বামী মো. শাহদাত হোসেন করিম ও তার শ্বশুর-শাশুড়ি।
মঙ্গলবার (০২ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. শাহদাত হোসেন করিম।
মো. শাহদাত হোসেন বলেন, ২০২০ সালের ৭ জুন বাগেরহাট মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ওই নারীর (২৭) সঙ্গে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক আমার বিয়ে হয়। স্ত্রীর ঢাকার পত্রিকায় চাকরির সুবাদে সে ঢাকাতে থাকত। বিয়ের মাত্র দেড় মাস পর আমার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত হয়। সংসার বাঁচাতে উপায়ন্তু না পেয়ে আমি তাকে আমার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার উদয়তারা বুরিরচরে নিয়ে আসি। ব্যবসার কাজে তাকে বাড়িতে রেখে আমি ঢাকাতে আসি। আর এ সুযোগে সে বাড়ি থেকে তার কাপড় চোপড়, ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও বাড়ির কাজের জন্য রাখা ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে আসে।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে আমি মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। বিষয়টি আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে জানাই। তারাও তাদের মেয়েকে আমার বাড়িতে আসার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেন। আমি আমার স্বর্ণালংকার ও টাকার জন্য চাপ দিলে একই বছর ১২ অক্টোবর আমার বৃদ্ধ মা ও আমাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে নির্দোষ বলে আদালতে সাক্ষ্য দেয়।
পরবর্তীতে আমার স্ত্রীর না রাজির ভিত্তিতে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে দায়িত্ব দেয়। পিবিআই মামলাটির তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রিপোর্ট প্রদান করে। আমি এই মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চাই। আমাদের নামে বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করে সামাজিকভাবে হেয় করছে।
শাহদাতের বোন রেশমা আক্তার ও ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা চেয়েছিলাম ছোট ভাইয়ের বউ বাড়িতে মাকে নিয়ে থাকবেন। কিন্তু মায়ের সাথে তো থাকলই না। বরং এখন আমাদের উল্টো হেনস্থা করছে। আমরা এই মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী অনেকগুলো বিয়ে করেছে। বিয়ে করা তার নেশা। মামলা থেকে বাঁচতে সে আমার নামে এসব অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।