স্পোর্টস ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে ইতিমধ্যে স্থগিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের বেশ কিছু সিরিজ। যার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজগুলোও।
আর এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, আইসিসি যদি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সময় না বাড়ায় তবে, নির্ধারিত সময়সীমায় নিজেদের স্থগিত হওয়া টেস্টগুলো খেলতে পারবে না বাংলাদেশ।
করোনার কারণে বাংলাদেশের সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল হয়। এর ফলে এ বছর এখনও পর্যন্ত মোট আটটি টেস্ট স্থগিত হয়ে গেছে। যেখানে গত এপ্রিলে পাকিস্তানের মাটিতে একটি টেস্ট ম্যাচ ছিল। জুনে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও আগস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠেই দুটি টেস্ট ছিল। আর এই আটটি টেস্টই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান আকরাম খান ক্রিকবাজকে বলেন, আইসিসি বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সময় বাড়ানো ছাড়া আমরা নির্ধারিত সময়সীমায় এই আটিটি টেস্ট খেলতে পারবো না। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে আইসিসি কি করে আমরা সেদিকে তাকিয়ে আছি। এটা করা ছাড়া আমাদের স্থগিত হওয়া আটটি টেস্ট খেলা কঠিন হয়ে যাবে।
২২ বছর আগে ইউনাইটেড ক্রিকেট বোর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার সুপ্রিমো আলী বাশের, ক্লাইভ লয়েড ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাহী আইসিসির কাছে টেস্ট বিশ্বকাপের প্রস্তাব করে। পরবর্তীতে আরও অনেক ধারণা আসে।
অবশেষে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট আইসিসি ২ বছরব্যাপী প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করে। যেটি এজবাস্টনে অ্যাশেজের মাধ্যমে শুরু হয়।
এই চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে শীর্ষ ৯টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ দুই বছরে একে অপরের বিপক্ষে লড়বে। প্রতিটি দেশই এই সময়ে ৬টি টেস্ট সিরিজ খেলবে। যেখানে তিনটি দেশে ও তিনটি দেশের বাইরে।
আর সবমিলিয়ে হবে ২৭টি সিরিজ, যেখানে ৭১টি ম্যাচের ব্যবস্থা থাকবে। এখান থেকে শীর্ষ দুই পয়েন্ট অর্জনকারী দেশ ফাইনাল খেলবে। যা ২০২১ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।