আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দেশে দেশে কিছুটা শিথিল লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
করোনায় বিধ্বস্ত স্পেনেও এর ব্যতিক্রম দেখা যায়নি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাদামাটাভাবেই ‘ঘরবন্দি’ ঈদ কাটছে।
রাজধানী মাদ্রিদ ও পর্যটন নগরী বার্সেলোনাসহ স্পেনের অনেক শহরে আল্লাহ আকবার ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠেনি খোলা মাঠ কিংবা মসজিদের চারপাশ।
তবে আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত স্পেনের টেনেরিফ দ্বীপের স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে রোববার আস সুন্নাহ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন সেখানে বসবাসরত মুসলিম সম্প্রদায়।
দীর্ঘ দুই মাসের বেশি লকডাউন থাকার পর তা শিথিল হলে চলতি সপ্তাহে টেনেরিফ দ্বীপে স্থানীয় মসজিদটি খুলে দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
মসজিদ খোলার পরপরই শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের করে দ্বীপে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
সরকারি নির্দেশনা মেনে জনসমাগম এড়াতে মসজিদে পরপর চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে, দ্বিতীয় জামাত ৮টা ২০, তৃতীয় জামাত ৯টা এবং সর্বশেষ জামাত হয় ৯টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়।
তবে সরকারি নিয়ম অনুসারে প্রতি মুসল্লিকে মাস্ক পরে মসজিদে প্রবেশ করতে হয়। মসজিদে বাইরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা।
সেখানকার বাসিন্দা ফরিদ হাসান খান জানান, দুই মাসের বেশি মসজিদ বন্ধের পর চলতি সপ্তাহে মসজিদটি খোলার অনুমতি দেয়া হয়। মসজিদটিতে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পেরে খুবই ভালো লাগলে। অন্যদিকে একটু খারাপও লেগেছে। আত্মীয়-স্বজনরা দূরে এবং আগের মতো সেই আনন্দ পাইনি।
এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এই মহাদুর্যোগের মধ্যেও ধর্মপ্রাণ প্রবাসী বাংলাদেশিরা সরকারি নিয়মকানুন সঠিকভাবে পালন করে ঈদ উদযাপন করছেন। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



