গত ১৩ অক্টোবর ইতিহাস গড়ল স্পেসএক্স। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপ সেদিন সফলভাবে ঝুলন্ত-অবতরণ করে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের এই ঐতিহাসিক অর্জন মহাকাশ অভিযানে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। দীর্ঘদিন ধরে ইলন মাস্কের নেতৃত্বে স্পেসএক্স রকেট পুনরায় ব্যবহারের চেষ্টা করে আসছিল।
আগে রকেট উৎক্ষেপণের পর বুস্টার রকেটগুলো সাগরে গিয়ে পড়ত। এতে অতিরিক্ত খরচ হতো। পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর ছিল সেটা। কিন্তু স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট এই প্রথমবারের মতো লঞ্চপ্যাডেই ফিরে এসেছে। লঞ্চপ্যাডের দুটি রোবটিক বাহু চপস্টিকের মতো রকেটটিকে শূন্যে থাকতেই লুফে নিয়েছে। তারপর নিরাপদে নির্দিষ্ট জায়গায় বসিয়ে দিয়েছে বুস্টারটি।
ফ্লাইট ৫ রকেট উৎক্ষেপণের ২ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড পর রকেট থেকে বুস্টারটি আলাদা হয়ে যায়। প্রায় ৭ মিনিট পর বুস্টারটি টেক্সাসের বোকা চিকা অঞ্চলে ফিরে আসে। ফেরার সময় বুস্টারটির গতি কমিয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে ল্যান্ডিং টাওয়ারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ল্যান্ডিং টাওয়ারের যান্ত্রিক হাত বুস্টারটিকে লুফে নেয়।
২০২৬ সালে চাঁদে মানুষ পাঠানোর জন্য এই স্টারশিপ রকেট ব্যবহার করা হবে।এ ছাড়া ইলন মাস্ক মঙ্গলে যাত্রা করার পরিকল্পনা করছেন।সেখানে সমুদ্রে বুস্টার রকেট ফেলা বা লঞ্চপ্যাড বানিয়ে সমতল জায়গায় রকেট অবতরণ করানো ছিল যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং।
এ অর্জনের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান মিলল। মূলত মঙ্গল বা ভিনগ্রহে নিরাপদে অবতরণের লক্ষ্যেই স্পেসএক্স এসব পরীক্ষা চালাচ্ছিল।এটি ছিল স্টারশিপের পঞ্চম পরীক্ষা।এর আগেও কয়েকবার পরীক্ষা চালানো হয়েছে, কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো সফল হলো স্পেসএক্স।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।