
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবারের এই মহামারিতে অলৌকিক একটি ঘটনা তুলে ধরেছে স্পেনের স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ওলিভ প্রেস। এই দৈনিক বলছে, সময়টা ছিলো ১৯১৮ সাল; অ্যানা ডেল ভ্যালে ছিলেন ছোট্ট শিশু। ওই বছর স্প্যানিশ ফ্লু বিশ্বজুড়ে হানা দেয়। ফ্লুতে আক্রান্ত হন অ্যানা এবং পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে ওঠেন। প্রাণঘাতী এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ফ্লু স্থায়ী ছিলো প্রায় ৩৬ মাস; ১৯১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে আক্রান্ত হন বিশ্বের ৫০ কোটি মানুষ, যা ছিলো বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
এই মহামারির ১০২ বছর পর স্পেনের এই নারী অলৌকিকভাবে করোনা ভাইরাস থেকেও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে এ খবরে মেতে উঠেছে।
দ্য ওলিভ প্রেস বলছে, অ্যানা ডেল ভ্যালে স্পেনের আলকালা ডেল ভ্যালে এলাকার একটি নার্সিং হোমে বসবাস করতেন। সেখানকার অন্য ৬০ জন বাসিন্দার সঙ্গে তিনিও করোনায় আক্রান্ত হন। পরে সেখান থেকে তাকে লা লিনির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে কয়েকদিন আগেই সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।
অ্যানার জন্ম ১৯১৩ সালের অক্টোবরে। আর কয়েকমাস পর তার বয়স হবে ১০৭ বছর। স্পেনে সবচেয়ে বয়স্ক রোগী হিসাবে করোনা জয়ের রেকর্ড গড়েছেন অ্যানা। তিনি ছাড়াও এবারের এই মহামারি জয় করেছেন নেদারল্যান্ডসের ১০৭ বছর বয়সী করনেলিয়া রাস নামের আরেক নারী।
স্থানীয় অন্যান্য গণমাধ্যম বলছে, অ্যানা ছাড়াও স্পেনে আরও দুই নারী, যাদের বয়স ১০১ বছরের বেশি তারাও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
স্পেনে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ হাজার ৫২৪ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৯২ হাজার ৩৫৫ জন। এদিকে, শুক্রবার স্পেনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত এক মাসের মধ্যে দেশটিতে করোনায় সর্বনিম্ন ৩৬৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মতে, বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন এক লাখ ৯৫ হাজার মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ লাখের বেশি। আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৮১ হাজার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



