Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবি : স্বজনহারা মীরকাদিম, বাড়ি বাড়ি শোকের মাতম
    জাতীয়

    বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবি : স্বজনহারা মীরকাদিম, বাড়ি বাড়ি শোকের মাতম

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কJune 30, 2020Updated:June 30, 20203 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া মর্নিং বার্ড লঞ্চটিতে প্রতিদিনের মতো সোমবারও ব্যাংক কর্মকর্তা, ফল ও সবজি ব্যবসায়ীসহ ছোট ছোট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী স্ব স্ব কর্মের উদ্দেশে ঢাকায় যাত্রা করেছিলেন। সদরঘাট যাওয়ার পথে শ্যামবাজার সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় তাদের লঞ্চটি। সে সময় লঞ্চের সামনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে কিছু যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হলেও বেশিরভাগ যাত্রীর সলিল সমাধি ঘটে।

    যাত্রীদের ভাষ্যমতে, লঞ্চটিতে এক থেকে দেড়শ জন যাত্রী ছিলেন। কিন্তু মীরকাদিম নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, লঞ্চটির ধারণক্ষমতা সোয়াশো। আর লঞ্চটিতে ৬০ থেকে ৭০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন।

    সরেজমিনে মীরকাদিম লঞ্চঘাট ও স্বজনহারা পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মর্নিং বার্ড লঞ্চটি প্রতিদিন সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে মীরকাদিম ঘাট থেকে ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এক থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লাগে গন্তব্যে পৌঁছাতে।

    দুর্ঘটনায় ডুবে যাওয়া লঞ্চযাত্রী নাজমা আক্তার বলেন, চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাচ্ছিলাম। লঞ্চটি যে পাশ দিয়ে ডুবেছিল তার বিপরীত পাশের জানালা দিয়ে বেরিয়ে আসি। চোখের সামনে পরিচিত মুখগুলো মুহূর্তে লাশ হলো। এমন ঘটনা সহ্য করা যায় না।

    এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ফিটনেসবিহীন লঞ্চ ও করোনাকালে সামাজিক দূরত্ব না মেনে যত্রতত্র যাত্রী পারাপারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    দুর্ঘটনা থেকে জীবিত ফিরে আসা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তার বাড়ি মীরকাদিম পৌরসভার এনায়েতনগরে। রাজধানীর বঙ্গবাজার কাপড়ের দোকানে কাজ করেন তিনি। গত আট বছর ধরে কাঠপট্টি থেকে লঞ্চে করে ঢাকায় আসা-যাওয়া করেন। সোমবার সকালে প্রতিদিনের মতোই মর্নিং বার্ড লঞ্চে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন তিনি। তার সাথে মীরকাদিম পৌর এলাকার প্রায় ১০ জন ছিলেন। কথা আর আড্ডায় তারা লঞ্চটিতে মেতে ছিলেন। ফরাশগঞ্জ ঘাট এলাকার কাছাকাছি গেলে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ তাদের লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি একপাশে কাত হয়ে যায়। পাশের সবাই ছিঁটকে নদীতে পড়তে থাকেন। তিনিও লঞ্চ থেকে পানিতে পড়ে যান।

    তার দেখামতে, ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী তীরে উঠতে সক্ষম হয়। আবার পরিচিত অনেকে ডুবে যান। তিনিও প্রায় ডুবে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে আল্লাহর অশেষ রহমতে সাঁতরে তীরে ওঠেন। তিনি বলেন, যাদের সাথে পাঁচ মিনিট আগেও প্রাণবন্ত আড্ডায় ছিলাম। চোখের সামনে তারা ডুবে গেল। এটা কতটা কষ্টের ভাষায় বোঝানো যাবে না।

    ফল ব্যবসায়ী রিকাবীবাজার পূর্বপাড়ায় মো. ওমর বলেন, আমি লঞ্চের সামনে সারেংয়ের পাশে ছিলাম। যখন ঘাট দেখা গেল, তখন বেরিয়ে সামনে আসি। শ্যামবাজারের কাছাকাছি এলে দেখি ময়ূর-২ লঞ্চটি সামনের অংশ দিয়ে মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয়। সাথে সাথেই মর্নিং বার্ড উল্টে যাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে আমি জীবন বাঁচাতে নদীতে লাফিয়ে পড়ি। আমার সাথে সাথে আরও অনেককেই নদীতে ঝাঁপ দিতে দেখি। অনেকেই পানির নিচ থেকে আমার পা টেনে ধরে। তখন জীবন বাঁচাতে তাদের ছেড়ে পানির উপরে উঠি। এমন সময় দেখি এক নারী হাবুডুবু খাচ্ছেন। তখন তাকে টেনে কাছাকাছি থাকা একটি নৌকার কার্নিশে ধরিয়ে দেই। তারপর আমি সাঁতরে পাড়ে উঠি।

    এই লঞ্চ দুর্ঘটনায় মীরকাদিম পৌরসভার কাঠপট্টি, রামসিং, রিকাবীবাজার, পশ্চিমপাড়া, গোয়ালগোনি, বজ্রযোগিনী ও রামপালের যাত্রী ছিলেন বেশি। এ পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জের ৩০ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আর এসব স্বজনহারা বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। বাড়ি বাড়ি চলছে কান্নার রোল। কেউ হারিয়েছেন স্বামী, কেউ স্ত্রী, কেউ ভাই, কেউ বোন আবার কেউবা মা-বাবা। স্বজন হারিয়ে কেই কাঁদছে হাউমাউ করে। আবার কেউ বোবা কান্না কাঁদছে। নির্বাক হয়ে অনেকে তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে। স্তব্ধ হয়ে গেছে পশ্চিম রিকাবীবাজার এলাকা। এখানে বাড়ি বাড়ি শোকের মাতম। উৎসুক জনতার ভিড় রয়েছে প্রতিটি বাড়িতে। কেউ দিচ্ছেন সান্ত্বনা। কেউবা নিজেরাও কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

    মুন্সীগঞ্জের রিকাবীবাজারের পশ্চিমপাড়ার মৃত আব্দুল রহিমের ছেলে দিদার হোসেন (৪৫) ছিলেন ঢাকার রহমতগঞ্জের ডালের ব্যবসায়ী। সোমবার সকালে বড় বোনের অসুস্থ স্বামীকে দেখতে আরেক বোন রুমা বেগমকে (৪০) নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চে করে রওনা হন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় বোনসহ তিনি নিহত হন। স্বজনরা জানান, মাত্র সাত মাস আগে বিয়ে করেছিলেন দিদার।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    Ilish

    নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মায় ইলিশ শিকারের মহোৎসব

    October 17, 2025
    July

    জুলাই সনদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ যতদিন থাকা যাবে

    October 17, 2025
    biduth

    শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

    October 17, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Ilish

    নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মায় ইলিশ শিকারের মহোৎসব

    July

    জুলাই সনদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ যতদিন থাকা যাবে

    biduth

    শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

    Salauddin

    ফোন করে বলা হয়, তোমার মাথার দাম ১০ কোটি টাকা : সালাউদ্দিন আম্মার

    Sonod

    কী আছে ঐতিহাসিক জুলাই সনদে

    July

    জাতীয় জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা

    Upodastha

    আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করলাম : প্রধান উপদেষ্টা

    ali riaz

    জুলাই যোদ্ধাদের দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামার ৫ম দফার সংশোধন

    Sangsad

    তিন দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের

    army

    সংসদ ভবন এলাকায় সংঘর্ষ থেমেছে, অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.