জুমবাংলা ডেস্ক : অবশেষে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতু। গণমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রকল্পের অগ্রগতি ৯০ দশমিক ৫০ ভাগ ও আর্থিক অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ০৩ ভাগ। নদীশাসন কাজের অগ্রগতি ৭৫ ভাগ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২১ সালের জুন মাসের পরে গণমানুষের জন্য উন্মুক্ত হবে পদ্মা সেতু।
এদিকে সেতুটি না চালু হলেও নানাবিধ জল্পনা কল্পনা চলছে সেতুটির টোল আদায় নিয়ে। তবে কত টোল হবে তা এখনো নিশ্চিত করে জানা যায় নি।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, টোলের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তির স্বার্থে। সরকারের উচ্চপর্যায় চাইলে এটা পরিবর্তন করতে পারে। তাই টোলের হার চূড়ান্ত বলা যাবে না।
তবে সেতু বিভাগ পদ্মা সেতু চালুর পর ১৫ বছরের জন্য একটি টোল হারের তালিকা করে গত বছর। তালিকা অনুসারে, বাসের ক্ষেত্রে টোলের হার হতে পারে ২ হাজার ৩৭০ টাকা। এছাড়া ছোট ট্রাকের জন্য ১ হাজার ৬২০, মাঝারি ট্রাকের ক্ষেত্রে ২ হাজার ১০০ ও বড় ট্রাকের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৭৭৫ টাকা টোল নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রতি ১৫ বছর পরপর টোলের হার ১০ শতাংশ করে বাড়ানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেতু বিভাগের প্রস্তাবে।
পদ্মা শুধু একটা সেতু নয়, দেশের লাখো মানুষের আবেগ অনুভূতি জড়িয়ে আছে এই সেতুর সঙ্গে। তবে এটি শুধু বিশ্বব্যাংকের সাথে চ্যালেঞ্জ নয়, কারিগরি দিক থেকেও বিশ্বের মধ্যে নানা কারণে অনন্য বাংলাদেশের এ সেতুটি।
এখনও সেতুর আরও কিছু কাজ বাকি আছে। যেমন- রোডওয়ে স্ল্যাব, রেলওয়ে স্ল্যাব, সুপার-টি গার্ডার বসানো। স্ল্যাবের উপর পিচ ঢালাইয়ের কাজ, আলোকসজ্জা, ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজও বাকি আছে। সব মিলিয়ে যান চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত করতে আরও এক বছর লাগতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। এর পর একে একে নানা বাধা পেরিয়ে ও নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিন বছর দুই মাস ১০ দিনে সেতুর সবগুলো স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হলো বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।