সরেজমিনে জানা গেছে, জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিস বড়াল ২৪ মার্চ দুস্থদের জন্য ভিজিডির ৫০৯ বস্তা ও মৎস্যজীবীদের জন্য ৯১৬ বস্তা চাল এলএসডি গোডাউন থেকে উত্তোলন করে স্থানীয় ইদিলকাঠি বাজারের পরিষদের গোডাউনে জমা রাখেন। চাল গোডাউনে ওঠানোর পরে চাবি ইউপি সদস্য মত্যুঞ্জয় এর কাছে রাখা হয় বলে চেয়ারম্যান দাবি করেন। মঙ্গলবার জেলেদের চাল বিতরণ করার খবর পেয়ে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা ফিরোজ আহমদ ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) মো. নুরুন্নবী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় চাল কম থাকার বিষয়টি তাদের গোচরে এলে তারা স্টক গুনে চালের হিসাব দিতে বলেন ইউপি সচিব মিজানুর রহমানকে। এ সময় চালের বস্তা গণনা করে ৩৬ বস্তায় প্রায় এক হাজার একশত কেজি চাল কম রয়েছে। বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি সকলের জবানবন্দি নেওয়ার জন্য বলেন।
এ বিষয়ে জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিস বড়াল বলেন, প্রথম দিনে আমি ৫টি ওয়ার্ডের ভিজিডির চাল বিতরণ করেছি। সেখানে তালিকার বাইরে শেফালীও রোজিনার মাধ্যমে ৯ বস্তা চাল নিজে থেকে দিয়েছি। যেহেতু আমি নির্বাচন করছি বলে ইউএনও মহোদয় নিষেধ করায় আমি চলে যাই। পরের দিন ছিলিপ পাঠিয়ে সচিবকে বাদল, নুরুজ্জামান ও রুবেলকে মোট ৩ বস্তা চাল দিতে বলেছি। এর বাইরে আমি কিছুই জানি না।
অপরদিকে সচিব মিজানুর রহমান বলেন, ভিজিডির চাল তালিকা অনুযায়ী তিনি বণ্টন করেছেন। কোনো সিলিপে চাল বণ্টন করেননি।
ট্যাগ অফিসার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুন্নবী বলেন, প্রথম দিনে চেয়ারম্যান সাহেব লোকজন নিয়ে ভিজিডির চাল বিতরণ করেছেন। তা আমাকে জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে ইউএনও মো, মোশারেফ হোসেন বলেন, জেলেদের জন্য উত্তোলন করা চাল কম থাকার বিষয়টি জানার পরে তিনি মৎস্য বিভাগের কর্মচারী ফিরোজকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে বস্তা গণনার জন্য নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে চাল কম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আপাতত বিতরণ কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। পরবর্তীতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।