বাংলাদেশে আজকের স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি
বাংলাদেশে আজ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ১,২০,০০০ থেকে ১,২২,০০০ টাকা (স্থানীয় বাজারভেদে ওঠানামা করতে পারে)। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও অন্যান্য বড় শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মতে, গত এক সপ্তাহে স্বর্ণের দামে সামান্য অস্বস্তি দেখা গেছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (BAJUS) ঘোষিত দামের সঙ্গে বাজারে পার্থক্য থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
ভারতে আজকের স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি
ভারতে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৬০,৫০০ থেকে ৬১,২০০ ভারতীয় রুপি (শহর ও ব্র্যান্ডভেদে ভিন্ন)। মুম্বাই, দিল্লি, ও কলকাতার বাজারে বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধি ও রুপির দুর্বলতার প্রভাব পড়েছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, স্বর্ণের আমদানির শুল্ক (১২.৫%) ও জিএসটি (৩%) দামকে প্রভাবিত করছে।
স্বর্ণ কেনাবেচার বিস্তারিত তথ্য
১. বাংলাদেশে স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়:
লাইসেন্সপ্রাপ্ত জুয়েলার্স: BAJUS-নিবন্ধিত দোকান থেকে ক্রয় করুন। হালিমার্ক বা পিউরিটি সার্টিফিকেট চেক করুন।
ব্যাংক থেকে ক্রয়: কিছু ব্যাংকে সোনার বার বা কয়েন বিক্রি হয় (যেমন: সোনালী ব্যাংক)।
পুরাতন গহনা বিক্রি: লাইসেন্সড দোকানে ওজন ও শ্রমখরচ বাদ দিয়ে মূল্য পাবেন।
২. ভারতে স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়:
BIS-সার্টিফাইড দোকান: ভারতীয় মান ব্যুরো (BIS) হালিমার্ক যুক্ত স্বর্ণ নিরাপদ।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম: Tanishq, Kalyan Jewellers-এর মতো ব্র্যান্ড অনলাইনে অর্ডার দিচ্ছে।
গহনা বিনিময়: “Exchange Offer” এ পুরোনো গহনার মূল্য নতুন গহনায় যোগ করা যায়।
সচেতনতা মূলক পরামর্শ
নকল স্বর্ণ সতর্কতা: সোনা চেক করতে এক্স-রে ফ্লোরোসেন্ট টেস্ট বা হালিমার্ক যাচাই করুন।
রিসিপ্ট সংরক্ষণ: কেনাবেচার রিসিপ্ট, পিউরিটি সার্টিফিকেট রাখুন। কর ফাঁকি এড়াতে সরকারি নিয়ম মেনে চলুন।
অনলাইন প্রতারণা: অজানা ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ায় “সস্তা সোনা” এর প্রলোভনে পড়বেন না।
বাজার মনিটর করুন: দাম কমলেই বিনিয়োগ করবেন না, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করুন।
কেন স্বর্ণের দাম ওঠানামা করে?
১. বৈশ্বিক বাজার: আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট প্রাইস (USD/ট্রয় আউন্স) সরাসরি প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন ডলার শক্তিশালী হলে স্বর্ণের দাম কমে।
২. মুদ্রার মান: বাংলাদেশে টাকা ও ভারতে রুপির দুর্বলতা স্বর্ণের দাম বাড়ায় (সোনা আমদানি USD-তে হয়)।
৩. চাহিদা ও সরবরাহ: উৎসব মৌসুমে (বিয়ে, দিওয়ালি, ঈদ) চাহিদা বাড়ে, দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়।
৪. রাজনৈতিক অস্থিরতা: যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি, বা অর্থনৈতিক মন্দায় সোনা “সেফ হ্যাভেন” হিসেবে জনপ্রিয় হয়।
৫. সরকারি নীতি: আমদানি শুল্ক, জিএসটি, বা সোনার বিপরীতে ঋণ সুদের হার পরিবর্তন দামে প্রভাব ফেলে।
স্বর্ণ শুধু অলংকার নয়, বিনিয়োগের মাধ্যমও বটে। তবে এর দামের অস্থিরতা ও প্রতারণার ঝুঁকি মাথায় রেখে সচেতন সিদ্ধান্ত নিন। নিয়মিত BAJUS (বাংলাদেশ) বা IBJA (ভারত) এর ওয়েবসাইটে দাম ও নীতিমালা চেক করুন। মনে রাখবেন, স্বর্ণ কেনা দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা, স্বল্পমেয়াদে লাভের আশায় নয়।
নোট: উল্লিখিত দাম স্থানীয় বাজার ও সময়ভেদে পরিবর্তনশীল। কেনার আগে স্থানীয় দোকান বা সরকারি সূত্রে নিশ্চিত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।